ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

শরীরচর্চাই ডেকে আনতে পারে বিপদ!

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ৯ ডিসেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিত্যদিনের কাজের মতোই অনেকে শরীরচর্চাকেও একদিনের জন্য বাদ দেন না। অনেকের আবার একদিন শরীর চর্চা না করলে শরীর-মন সব ক্লান্ত হয়ে পড়ে? তাই ব্যথা নিয়েও ফিট থাকতে অনেকেই প্রতিদিন হাঁটছেন, দৌড়চ্ছেন। তবে এত বেশি মোটেই ভালো নয়। কেন জানেন?

অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ-সবল থাকতে প্রতিদিন শরীরচর্চার বিকল্প কিছু হয় না। এটাকে বেদবাক্যের মতো মেনে চলেন অনেকে। এটা খুব ভালো অভ্যাস। তবে কোনো কিছু অতিরিক্ত করা ভালো না। হোক না সেটা যতই ভালো অভ্যাস। মাঝেমধ্যে ভালো জিনিসও অতিরিক্ত হলে যেমন বিপজ্জনক হতে পারে, এক্ষেত্রেও ঠিক তাই-ই হয়।

বর্তমান সময়ে বয়স্করাই নয়, অল্প বয়সীরাও (১৮-৩০ বছর বয়সের মধ্যে), যারা প্রতিদিন জিম বা অনেক বেশি ওয়ার্কআউট, মর্নিং ওয়ার্ক করছেন, তাদের পরবর্তীকালে ‘ওয়ার্কআউট ইনজিওরি’-র প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত ওজন কমানো, চেহারার গঠন ঠিক করা ইত্যাদি কারণে জিমে যাওয়া বা নিত্য হাঁটা, এক্সারসাইজ করার প্রবণতা অল্প বয়সীদের মধ্যেও খুব বেড়েছে। আর শীতকালে এমনিতেই বেশির ভাগ মানুষই হাঁটা বা এক্সারসাইজ করেন। তাই কিছু ব্যাপারে সতর্ক হতেই হবে।

অতিরিক্ত শরীর চর্চা কেন ক্ষতি জেনে নেয়া যাক

১) প্রত্যেকের শরীরের গঠন, ওজন ও উচ্চতা অনুযায়ী কার কতটা এক্সারসাইজ করা উচিত সেটা নির্ভর করে। না হলে এক্সাসাইজের সময় পেশিতে পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো না হলে পেশির ক্ষতি হতে পারে। আবার বেশিমাত্রায় রক্ত প্রভাব হলে তাও পেশির জন্য ভালো নয়।

২) হাইপারট্রফিক মাসল’ হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে পেশির অতিরিক্ত পরিশ্রম হওয়ার ফলে মাসল ফাইবার বা পেশিতে উপস্থিত তন্তু অতিরিক্ত চাপে ছিঁড়ে যায়। তাই পেশিতে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ঠিক বজায় রাখা জরুরি।

৩) লিগামেন্টে বেশি চাপ পড়ে লিগামেন্টও ছিঁড়ে যেতে পারে। তাই শরীরের ওজন অনুযায়ী একজনের কতটা এক্সারসাইজ বা ওয়ার্কআউট দরকার সেটা হিসেব করে নিয়ে সেই মতো এক্সারসাইজ করা উচিত। জিম ট্রেনার বা এক্সারসাইজ এক্সপার্টরা তা নির্ণয় করে বলে দিতে পারেন।

যে কাজগুলো করবেন না:

১) শরীরের কোনো অংশে ব্যথা হলে সেই অবস্থায় কখনোই এক্সারসাইজ বা জিম নয়।

২) জোর করে এক্সারসাইজ করতে গেলে পেশিতে বা হাড়ে অতিরিক্ত চাপ পড়ার ফলে লেগে গিয়ে বড়সড় ড্যামেজ হয়ে যায়। আমাদের কাছে এমন রোগীও এসেছেন যার অল্প হাঁটু ব্যথা নিয়েও জিম করার ফলে হাঁটুর আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে। তারপর চিকিৎসা করে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে।

৩) লিগামেন্ট ইনজিওরি হলে পেন ম্যানেজমেন্ট বা থেরাপি করিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।

৪) হাঁটা বা ট্রেড মিলের ক্ষেত্রে ততটুকুই হাঁটা উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত পায়ে না লাগছে। পায়ে লাগতে শুরু করার পরও জোর করে হাঁটতে থাকলে তা থেকে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

৫) প্রথম শুরু করার পর একটু-একটু করে এক্সারসাইজের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দ্রুত বেশি চাপ নেওয়া চলবে না।

নিয়ম করে ওজন মাপুন।  আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের অনুপাতে ঠিক আছে তা দেখে প্রয়োজন বুঝে শরীর চর্চা করুন।। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়