মৃত ব্যক্তিকেও ভার্চুয়ালি হাজির করা সম্ভব করেছে ‘ডিপফেক’
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ক্লিপ তৈরির বিষয়টি নতুন নয়। আর এই বিষয়টি সম্ভব হচ্ছে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে কম্পিউটারে কারসাজি করা ছবিতে এক ব্যক্তির সাদৃশ্য অন্যের ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেখানে দেখা যাবে—সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বক্তব্য রাখছেন, বক্তৃতা করছেন বা অন্যকোনও কিছু করছেন। এমনকি মৃত ব্যক্তিকেও আপনার সামনে ভার্চুয়ালি হাজির করা সম্ভব হবে।
ডিপফেক হলো কম্পিউটারে তৈরি এক ধরনের ছবি বা ভিডিও যা দেখলে ধরা যাবেন না সেটি নকল। ২০১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের একদল গবেষক ডিপফেকের মাধ্যমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি ভিডিও বক্তব্য তৈরি করে। সেটা দেখে বোঝার উপায় থাকে না ভিডিওটি সত্যি নয়।
এ সফটওয়্যার মূলত ছবি কাজে লাগিয়ে নতুন ভিডিও তৈরি করতে পারে, যাতে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখভঙ্গি, ঠোঁট বা অন্যান্য অঙ্গের নড়াচড়াও মেলানো যায়। এরপর থেকে এ প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে গেছে। বিষয়টা এখন একটাই সহজ হয়েছে যে, শুধুমাত্র কয়েকটি ছবি দিয়েই ডিপফেক ভিডিও তৈরি করা যায়।
আশঙ্কার কথা, ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিখুঁতভাবে তৈরি করে হুবহু আসলের মতো বলে প্রচার করা হচ্ছে। যেকেউ কারও আক্রোশের শিকার হতে পারেন এই প্রযুক্তির অপব্যবহারে। সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভালো কাজের জন্য এই প্রযুক্তির কথা ভাবা হলেও এটা যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মানিব্রেইন এর প্রধান নির্বাহী সে ইয়ং জাং বলেন, আমরা একটি পরিবারের মৃত সদস্যকে পুনরায় তৈরি করতে পারবো, যাকে তারা আর দেখতে পান না। এআইকে ব্যক্তির কণ্ঠ, মুখভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা শিখতে দেয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির সাথেও যোগাযোগ করতে পারবে।
তবে সম্ভাবনাময় এই প্রযুক্তির ৯০ শতাংশই খারাপ কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে জানান সে ইয়ং জাং। এর প্রমাণ দিয়েছে জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপট্রেস। প্রতিষ্ঠানটি ডিপফেক চিহ্নিত করতে প্রযুক্তিগত সমাধান দেয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের প্রথম ৭ মাসে ১৪ হাজার ৬৭৮টি ডিপফেক চিহ্নিত করে। এসবের মধ্যে ৯৬ শতাংশ ছিল অসম্মতিসূচক অশ্লীল কনটেন্ট, যা একচেটিয়া নারী শরীরকে চিহ্নিত করেছে।
এত দিন ডিপফেক ঠিকভাবে শনাক্ত করার প্রযুক্তি সহজলভ্য ছিল না। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। ডিপফেক শনাক্ত করতে বিশেষ টুল বা প্রোগ্রাম তৈরি করেছে মাইক্রোসফট।
- ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনকের জন্মদিন
- কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের ৩৫ বছর আজ
- এক দশক পর নতুন সংস্করণে উইকিপিডিয়া
- দেশে মোবাইল টাওয়ার থেকে মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই
- বছরের ২য় চন্দ্রগ্রহন আজ
- সরকারি উদ্যোগে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট
- শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দিচ্ছে টেলিটক
- পরিচয়পত্র পাবেন ফ্রিল্যান্সাররা
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুবকদের দক্ষতায় জোর দেওয়া হচ্ছে: পলক
- সাইবার অপরাধ ঠেকাতে আসছে স্বতন্ত্র থানা