কোমল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন শেখ রাসেল: তথ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলের বয়স ছিল ১০ বছর। শেখ রাসেল কোনো রাজনীতি করেননি। তিনি রাজনীতি বুঝতেনও না। কিন্তু খুনিরা বঙ্গবন্ধুর কোনো বংশধরকে বাঁচিয়ে না রাখার উদ্দেশ্য নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্য ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে লন্ডনে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন তাদের (রাসেল) হত্যা করা হয়েছিল? তখন তারা স্বীকার করেছিল বঙ্গবন্ধু এত জনপ্রিয় ছিল, মানুষকে উদ্বেলিত করতে পারতো যে তারা তাকে হত্যা করেছে এবং সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যে এত তেজস্বী, দৃঢ়চেতা, আপসহীন সেটা আজ প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেদিন শুধু যে ১০ বছরের শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে তা নয়, চার বছরের শুকান্ত বাবু, আমাদের সাবেক চিফ হুইপ হাসনাত আব্দুল্লাহর চার বছরের ছেলে সুকান্ত বাবুকেও সেদিন হত্যা করা হয়েছে। আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পুত্র আরিফ শেখকে হত্যা করা হয়েছে। তার বয়স ছিল ১১ বছর। অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকেও সেদিন হত্যা করা হয়েছে। কারবালার প্রান্তরেও সেদিন নারী-শিশুদের হত্যা করা হয়নি। দুনিয়ায় অনেক রাজকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কোথাও এভাবে নারীও শিশুকে হত্যা করা হয়নি। এটি ইতিহাসের এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি খুব কোমল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, তিনি কবুতর পছন্দ করতেন, পাখি পছন্দ করতেন, ছবি আঁকতেন; সকল মানবীয় গুণ নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন। তিনি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর সাহচার্যে বেড়ে উঠছিলেন- বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিতে পারতেন। কিন্তু খুনিচক্র সে সুযোগ দেয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে ১৫ আগস্ট যে কালিমালেপন করেছে তার কিছুটা আমরা মুছতে সক্ষম হয়েছি। সেদিন যারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে তাদের বিচার হয়েছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিলেন তাদের বিচার হয়নি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত, তাদের মুখোশ উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত, ইতিহাস থেকে দায়মুক্তি পাবো না। তাই আমি মনে করি সেদিন যারা পেছনে কলকাঠি নেড়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। তাদেরও বিচার করা দরকার যারা বেঁচে আছে।
শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আজ শেখ রাসেলের জন্মদিনে বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে তার সন্তানদের সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছেন মা-বাবা। তাদের সুসন্তান ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলা উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হোসেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে