ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ জোর দেওয়া হবে ৭ বিষয়ে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ২২ মার্চ ২০২৪  

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ জোর দেওয়া হবে ৭ বিষয়ে

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ জোর দেওয়া হবে ৭ বিষয়ে

নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সাত বিষয়ের ওপর আগামী বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধিরা।  এছাড়া ডলারের দাম কমানো, অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প গ্রহণ, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তিকরণের মতো কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো, কৃষিতে ভর্তুকি, রিজার্ভ বাড়ানো, যানজট কমানো এবং অবকাঠামো খাত উন্নয়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।  
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেলা ১১ টায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সংসদীয় কমিটির সদস্যরা প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলেন। তাদের মতে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বর্তমান একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে। এ কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।  

মহান জাতীয় সংসদে আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হতে পারে। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর ও বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেট সংক্রান্ত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে বেসরকারি খাতের মতামত ও প্রত্যাশাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।

আগামী বাজেট হবে বেসরকারি খাতের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, বেসরকারি খাত অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সরকার বরাবরই সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামী বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বেসরকারি খাতের মতামত ও প্রত্যাশাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
ওই সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে কিছু কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আমদানির বিকল্প শিল্প প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকা-কে এ বছর বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব  দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক সংকটের মুখে এরই মধ্যে চলতি বাজেট থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে আনা এবং বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে। অর্থবছরের শুরুতে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ধরে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে আসে। সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগে মনোযোগী হতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। এদিকে ঋণখেলাপি কমিয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কার বড় একটি অসমাপ্ত কাজ। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়