ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ছাত্রলীগের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ‘হ্যালো ছাত্রলীগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০২, ১৯ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

পাহাড়ে ভরসা হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের অ্যাম্বুলেন্স-সেবার হটলাইন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মানবিক এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বান্দরবান জেলার সর্বস্তরের জনগণ। বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার সোহাগ জানান, ‘ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তারা। এই সেবা চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ হটলাইন মোবাইল নম্বরে সরাসরি কল এসেছে ৩ হাজার ৭০৫টি। প্রায় সবাইকে দেয়া হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স-সেবা।’

মূলত যারা আর্থিক অভাবের কারণে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারেন না তাদের জন্যই চালু করা হয়েছে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের এ ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। গত ১ জানুয়ারি এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

‘হ্যালো ছাত্রলীগ’-এ ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স-সেবা গ্রহণ করা মো. রুবেল বলেন, ‘আমার ছেলে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বাসায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। টাকার অভাবে গাড়ি ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। ঠিক ওই সময়ে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাম্বুলেন্স মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তারা দ্রুত এসে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসার সোহাগ বলেন, ‘আজকেও একজন রোগীকে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ অ্যাম্বুলেন্স গাড়িটি চট্টগ্রামে নিয়ে গেছে। আগের দিনও নিয়ে গেছে। যেকোনো মহামারি, দুর্যোগকালে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। করোনার মহামারি ঠেকাতে সারা দেশের মতো বান্দরবানেও কড়াকড়ি এক সপ্তাহ লকডাউন চলছে। আপনারা ঘরে থাকুন, জরুরি প্রয়োজনে আমাদের “হ্যালো ছাত্রলীগ” হটলাইন নম্বরে কল করুন। আমরা সার্বক্ষণিক আপনাদের আশার পূরণে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

শৈনুমে মারমা নামের একজন জানান, ‘গত বছর ১২ জুন বান্দরবানে কড়াকড়ি লকডাউন ছিল। ওই সময় কানের তীব্র ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। উপায় না পেয়ে ফোন করেন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ হটলাইনে। বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে। বান্দরবানে ছাত্রলীগ রাজনীতি ছাড়াও মানবতার কাজে নানা অবদান রেখে যাচ্ছে।’

বান্দরবান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি সুশীল বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা মানবতার কাজে সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। করোনাকালে ছাত্রলীগ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি করোনাকালে আমাদের হ্যালো ছাত্রলীগ অ্যাম্বুলেন্স-সেবাটি যথেষ্ট কাজে এসেছে।’

মান্যজন হিসেবে পরিচিত প্রবীণ মং নু খইং জানান, ‘মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের পুত্র রবি বাহাদুর উসিংহাইয়ের নেতৃত্বে বান্দরবানে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ জনগণের পরম বন্ধু। জনগণের জন্য ছাত্রলীগ এখন মাঠে। ছাত্রলীগের এমন কাজ বান্দরবানবাসীর জন্য খুব উপকারে এসেছে বলে মনে করেন তিনি।’

‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ সেবার বিষয়ে জেলা যুবলীগ সভাপতি কেলুমং বলেন, ‘বান্দরবানে ছাত্রলীগ কর্মীরা যেকোনো দুর্যোগ, মহামারি, বন্যাকালীন সময় এলে তারা মানবতার কাজে সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করে। এটি ছাত্রলীগের বড় অর্জন। ছাত্রলীগ এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে জনগণের বুকে স্থান পাবে।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়