ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

বিএনপিতে ‘মহাসচিব’ পদ নিয়ে অস্থিরতা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৬ এপ্রিল ২০২৪  

বিএনপিতে ‘মহাসচিব’ পদ নিয়ে অস্থিরতা

বিএনপিতে ‘মহাসচিব’ পদ নিয়ে অস্থিরতা

সরকার পতনের আন্দোলনে ফল না আসায় বিএনপির ভেতরে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। নেতাকর্মীরা বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় বড় আন্দোলন করার মতো পরিস্থিতিও নেই দলটিও। এমন পরিস্থিতিতে অভিমান ও অসুস্থতার কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় পদে ‘থাকতে চান না’ বলে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এতে দলে অস্থিরতা আরো বেড়েছে।দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ততেক রহমান বিদেশে থাকায় দলের ভেতরে নেতৃত্বের আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে কয়েকটি বলয় তৈরি হয়েছে। এসব বলয়ের পক্ষ থেকেও মির্জা ফখরুলকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব নানা কারণে পদে না থাকার বিষয়ে মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলেও চেয়ারপারসনের নির্দেশনায় চরম সংকটময় মুহূর্তে দেশ, নেতাকর্মী ও জনগণের স্বার্থে তিনি তার সিদ্ধান্ত বদলেছেন। তার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন মির্জা ফখরুল। ১৪৮ দিন পর গত ২৫ মার্চ নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ দিয়ে রাজপথের কর্মসূচিতে ফেরেন তিনি।

খালেদা জিয়া শারীরিক অসুস্থতা ও আইনি বাধ্যবাধকতায় বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন। সাধারণত দলীয় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন না তিনি। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ততেক রহমান প্রবাসে রয়েছেন। এমন অবস্থায় লন্ডন থেকে ততেক রহমানের নির্দেশনায় সরকার পতনের আন্দোলন চলতে থাকে। আর দেশে আন্দোলন সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন মির্জা ফখরুল। তবে নেতাকর্মীদের বড় অংশ রাজপথে না নামায় আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি বলে বিএনপির অনেকে মনে করেন। এজন্য দলের একটি অংশের অভিমত, আন্দোলন পরিচালনার পুরো দায়িত্ব ছিল মহাসচিবের। তিনি নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে পারেননি।

বিএনপির এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। তাছাড়া খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ততেক রহমান বিদেশে। এমন অবস্থায় আন্দোলন সফল না হওয়া কিংবা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল না আসার দায় নিয়ে পদ থেকে সরে যেতে চাওয়া রাজনীতিতে একটি গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস।

এদিকে মির্জা ফখরুল পদে থাকতে চান না;  এমন আলোচনায় দলের একটি অংশ নড়েচড়ে বসে। দলের মহাসচিব হওয়ার প্রশ্নে পাঁচজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়স বিবেচনায় মির্জা ফখরুলের পরিবারের লোকজন চাচ্ছেন না যে, এই বয়সে তিনি আর মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করুন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার ৬ কেজি ওজন কমেছে। তবে পারিবারিক আপত্তি সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার নির্দেশনা এবং দেশ, দল ও নেতাকর্মীদের স্বার্থে যতদিন সম্ভব দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়