ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বিএনপিতে চলছে সিদ্ধান্তহীনতা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২৪  

বিএনপিতে চলছে সিদ্ধান্তহীনতা

বিএনপিতে চলছে সিদ্ধান্তহীনতা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির মধ্যে যেমন বিরোধ দেখা যাচ্ছে, তেমনই দেখা যাচ্ছে সিদ্ধান্তহীনতা।সংশ্লিষ্ট দলীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে আত্মসমালোচনা হচ্ছে একেবারে নীরবে, গোপনে। প্রকাশ্যে বিএনপি নিজেদের জয়ী ঘোষণা করলেও দলের নেতাকর্মীদের হতাশা থামাতে পারছে না। একে অপরকে দোষারোপ করছে। ফলে একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতায় আরো বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে যাচ্ছে দলটি।

পরিচয় গোপন রাখা শর্তে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দলের নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে অস্তিত্ব সংকটে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দলের নেতারা কি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখবে নাকি আন্দোলনকে থামিয়ে এখন সংগঠন পুনর্গঠন করবে- এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আছে। ফলে হঠাৎ হঠাৎ কিছু কিছু নাম কা-ওয়াস্তে কর্মসূচি দিয়ে আবার ঘরে ফিরে যাচ্ছে তারা। এতে দলের ভেতর বিভ্রান্তি আরো বাড়ছে, বাড়ছে হতাশা।

সংগঠন পুনর্গঠন নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দলের মধ্যে কেউ কেউ ভাবছেন, দলের ভেতর দ্রুত একটি কাউন্সিল করে নেতৃত্বের পুনর্গঠন দরকার। আবার অনেকে মনে করছেন, শূন্যপদগুলো পূরণ করে সংগঠনে গতি আনা দরকার। সংগঠনকে কিভাবে পুনর্গঠন করা হবে সেটি নিয়েও দলটি রয়েছে এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতায়।

এছাড়া ঐক্য প্রসঙ্গ নিয়েও বিএনপিতে চলছে সিদ্ধান্তহীনতা। বিএনপির অনেকেই মনে করছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম করা উচিত। আবার বিএনপির মধ্যেই কেউ কেউ মনে করেন, পুরনো ২০ দল বা জামায়াতের সঙ্গে তাদের ঐক্য পুনর্বিন্যস্ত করা উচিত। কেউ কেউ মনে করেন, বিএনপির একলা চলো অবস্থাই ভালো। আর এরকম ভাবনাগুলো নিয়ে বিএনপি কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছে না। যার ফলে দলের মধ্যে দেখা দিচ্ছে এক ধরনের অস্থিরতা ও হতাশা। সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে না পারছে আন্দোলন করতে, না পারছে সংগঠন গোছাতে। আর এই সিদ্ধান্তহীনতা বিএনপিকে নিয়ে যাচ্ছে আরো গভীর অন্ধকারে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ব‌লে‌ছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ভুলের চোরাবালিতে আটকা পড়েছেন, ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি হয়ে আছেন তারা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস। এ মাসেও বিএনপির নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলমান রাখার কথা বলছেন। রমজান মাসে কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তারা দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে তাদের তথাকথিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু তাদের ডাকে জনগণ কখনোই সাড়া দেয়নি। বরং তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়