ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

প্রথমবার বিদেশে রফতানি হলো দেশে উৎপাদিত চাইনিজ বাঁধাকপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

প্রথমবার বিদেশে রফতানি হলো দেশে উৎপাদিত চাইনিজ বাঁধাকপি

প্রথমবার বিদেশে রফতানি হলো দেশে উৎপাদিত চাইনিজ বাঁধাকপি

আলু, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা কলার পর এবার বিদেশে রফতানি হলো বাংলাদেশে উৎপাদিত চাইনিজ বাঁধাকপি। সাভারে উৎপাদিত এসব বাঁধাকপি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে তাইওয়ানে রফতানি করা হয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারি এবং ২৬ জানুয়ারি ১৩ টন করে ২৬ টন চাইনিজ বাঁধাকপি তাইওয়ানে রফতানি করা হয়। এসব বাঁধাকপি রফতানি করেছে ঢাকার মিরপুরের বারুন অ্যাগ্রো কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। 

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এতদিন বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া ও দেশি বাঁধাকপিসহ অন্যান্য সবজি রফতানি করা হলেও এবার প্রথমবার চাইনিজ বাঁধাকপি বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। এসব কপি উৎপাদিত হয়েছে সাভারে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কিনে আমরা রফতানি করেছি। একেকটি কপির ওজন আড়াই থেকে চার কেজি পর্যন্ত।’

১৩ করে ২৬ টন দুই কনটেইনারে তাইওয়ানে রফতানি করা হয়েছে জানিয়ে সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এই সবজি সে দেশে পৌঁছার পর কতটুকু গুরুত্ব পায়, তার ওপর নির্ভর করছে আগামী রফতানি। যদি ভালো সাড়া মিলে তাহলে আমরা চাষাবাদ শুরু করবো। অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবো এবং আগামী বছর রফতানি করবো।’

স্কাইল্যান্ড শিপিংয়ের কনটেইনারযোগে সমুদ্রপথে এসব বাঁধাকপি তাইওয়ানে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্কাইল্যান্ড শিপিং এজেন্টের কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রথম চাইনিজ বাঁধাকপি রফতানি হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ২৬ টন। এর আগে অন্যান্য সবজি রফতানি হয়েছে। যদি সাড়া মিলে তাহলে দেশে এই সবজির চাষাবাদ বাড়বে। এখন সাভার এবং কুষ্টিয়ায় বাঁধাকপি চাষাবাদ হচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের রোগতত্ত্ববিদ সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, ‘এর আগেও চট্টগ্রাম দিয়ে দেশি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, টমেটো ও কাঁচা কলা রফতানি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম রফতানি হলো চাইনিজ বাঁধাকপি। এসব বাঁধাকপি সাভারের একজন কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে চাষাবাদ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন এগুলো রফতানি উপযোগী। আমাদের কাছে আবেদন করার পর যাচাই-বাছাই করে রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, দেশের উৎপাদিত সবজি বেশি পরিমাণ বিদেশে রফতানি হোক। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে এবং দেশের কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।’

এটিকে কেউ নাপা বাঁধাকপি আবার কেউ চাইনিজ বাঁধাকপি নামে ডাকেন উল্লেখ করে মুনিরুল হক বলেন, ‘এই জাতের কপি দেখতে বাটিশাকের মতো। তবে গড়নটা বাঁধাকপির। দেশেও এর চাহিদা আছে। বিশেষ করে নামীদামি রেস্টুরেন্টে এই বাঁধাকপি দিয়ে তৈরি উপকরণ বিক্রি হয়। সুপারশপেও পাওয়া যায়।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়