ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম হলেও বানাবে না ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২ আগস্ট ২০২২  

পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম হলেও বানাবে না ইরান

পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম হলেও বানাবে না ইরান

ইরানের পারমাণবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু তা করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি।

সোমবার (১ অগাস্ট) তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস নিউজ।

এর আগে, গত জুলাইয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা কামাল খাররাজি একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। এবার তারই প্রতিধ্বনি করলেন দেশটির পারমাণবিক সংস্থার ওই প্রধান।

ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির আগ্রহ রয়েছে বলে পশ্চিমারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করলেও দেশটি বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে। মোহাম্মদ এসলামি বলেছেন, ‘খাররাজি ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এই কর্মসূচি আমাদের এজেন্ডায় নেই।’

ইরান ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। যা বিশ্বশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির নির্ধারিত সীমা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের অনেক বেশি। কোনও দেশের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ থাকলে সেই দেশটিকে পারমাণবিক বোমা তৈরির উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।

বহুল আলোচিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর এই চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ায় পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে ইরান। তবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানা হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।

রোববার পরমাণু চুক্তির ইরানীয় শীর্ষ এক আলোচক বলেছেন, পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইরান। একই সঙ্গে দেশটি এই আলোচনার দ্রুত শেষ চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।

বোরেল বলেছেন, তিনি চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি নতুন খসড়া চুক্তির প্রস্তাব করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে বার্তার আদানপ্রদান এবং প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা পারমাণবিক আলোচনার একটি নতুন পর্বের নির্দিষ্ট সময়সীমা সম্পর্কে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হব।’

তেহরান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ভিয়েনায় ১১ মাসের পরোক্ষ আলোচনার পর গত মার্চে পুনরুজ্জীবিত একটি চুক্তির বিস্তৃত রূপরেখা তৈরিতে সম্মত হয়।

তবে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টই ট্রাম্পের মতো চুক্তিটি পরিত্যাগ করবেন না বলে ওয়াশিংটনের কাছে তেহরান নিশ্চয়তার দাবি জানানোর পর সেই আলোচনা থমকে যায়। এদিকে, পারমাণবিক চুক্তির বিষয়টি বাধ্যতামূলক রাজনৈতিক বোঝাপড়া না হওয়ায় এবং আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় জো বাইডেন এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়