ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নির্বাচনে হারলেও ক্ষমতা ছাড়তে চান না ট্রাম্প!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার সাংবাদিকদের কাছে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যম বিবিসর খবরে জানা যায়, পরাজিত হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিনা, এ ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, পরাজিত হলে আগে দেখতে হবে আসলে কী ঘটেছে। তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় তিনি আবারো পোস্টাল মাধ্যমে ভোট নেয়ার ওপর সংশয় প্রকাশ করেন।

আগেও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রশ্নে ট্রাম্পের উত্তর ছিল, ফল দেখেই তিনি বলতে পারবেন ক্ষমতা ছাড়বেন কিনা। বুধবার হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার বিশ্বাস মহামারির সময় ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো দরকারই হত না।

যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না। কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারো কারো ভোট দিতে সমস্যা হয়। এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে। এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ডাকযোগে বা মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। এমনকি ভোট-জালিয়াতি হতে পারে বলে ডেমোক্র্যাটদের দিকে আঙুলও তুলেছেন তিনি।

ডাকযোগের ব্যালট সরিয়ে নিলে সবই শান্তিপূর্ণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো প্রয়োজন হবে না অর্থাৎ তার পরাজিত হওয়ার কোনো কারণই নাই। ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা অন্যদের চেয়ে বেশি জানেন যে ডাক ব্যালট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে।

ডাক ভোটের কারণে ফলাফল চূড়ান্ত হতে বিলম্ব হলে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঝামেলা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই ডাকযোগে ভোট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন তিনি।

তবে বিশেষজ্ঞ এবং ভোট কর্মকর্তারা ট্রাম্পের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলছেন এই প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি কিংবা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই প্রক্রিয়া নিয়মিত ব্যবহার করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার এ মানসিকতাকে গণতন্ত্রের প্রতি হামলা বলে আখ্যায়িত করেছিলেন হিলারি। অবশেষে নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। যদিও হিলারি ক্লিনটন তার চেয়ে ৩০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। এই ভোট নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে ট্রাম্পের।

এবারের নির্বাচনে যেকোনো অবস্থায় পরাজয় মেনে না নিতে জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। একটি দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, নির্বাচনের পর রিপাবলিকানরা ‘অনুপস্থিত ব্যালটি’ নিয়ে সবকিছু সরগরম করে তোলার চেষ্টা করতে পারে। একই সঙ্গে তারা এই ফলকে চ্যালেঞ্জ করতে আইনজীবীদের আশ্রয় নিতে পারে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়