নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে আশা প্রকাশ করলো আওয়ামী লীগ

সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান করে নতুন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কমিশন দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে তাদের চাকরি জীবনে অতীতের মতো সততা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

সকলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নতুন ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের নাম ঘোষণা করার পরে দলের পক্ষে থেকে প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন সকল কিছু পিছনে ফেলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা। নিয়োগপ্রাপ্তরা তাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে দেশবাসীকে সুন্দর একটা নির্বাচন উপহার দেবে, যাতে করে দেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে। মানুষ যাতে তাদের ভোট প্রদানের সুযোগ পায় সেটি নিশ্চিত করবে বর্তমান ইসি। 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের বির্তক দূর করে নতুন নির্বাচন কমিশন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে কাজ করবে। নতুন ইসির মূল দায়িত্ব হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। নতুন ইসিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন কর্মজীবনে প্রত্যেকেই অত্যন্ত দক্ষতা, সততা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করবেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা-দক্ষতা দেখিয়েছেন, ঠিক সেভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করবেন। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আমারেদর অনুরোধ থাকবে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এই কমিশনকে নিয়ে অযৌক্তিক কথাবার্তা বলে বিতর্কিত করার চেষ্টা না করা হয়, সেটাই জাতির প্রত্যাশা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুয়ায়ী যাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করেছেন,তাদের অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতান্ত্রিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য; একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।

সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। 

সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন চারজন। তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান। শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

সদ্য নিয়োগ পাওয়া হাবিবুল আউয়াল নেতৃতত্বাধীন এই কমিশনের পরিচালনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।