ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তালেবানদের সাথে কানেকশন বিএনপি-জামায়াতের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ৩০ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নতুন করে জামায়াতের তৎপরতা শুরু হয়েছে। সোমবার রাত ১২ টার দিকে জামায়াতের ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের সাথে তালেবানদের কানেকশনের কারণে এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩৭ জন তালেবানপন্থী উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি, এমন অভিযোগ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এখন দেখা যাচ্ছে যে বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে একাধিক শীর্ষ নেতা তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং আফগানিস্তানের ইস্যুতে তারা তৎপর হচ্ছেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর সেই রাষ্ট্রটি ক্রমাগতভাবে তালেবানদের দখলে চলে যাচ্ছে এবং এই খুব শিগগিরই এটি তালেবান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আর তালেবানদের সঙ্গে বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির একটি দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল। আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাই আফগানিস্তানে গিয়েছিল তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে, এখন বিএনপিতে মূল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এবং জেলা নেতৃত্বের মধ্যে এরকম অন্তত ১৩৮ জন রয়েছেন যারা তালেবানদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে অন্তত ৭৬ জন আশি-নব্বইয়ের দশকে কোন না কোন সময় আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে, হেফাজত বা খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ইত্যাদি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়েই কথাবার্তা হচ্ছে যে তাদের সঙ্গে তালেবানদের যোগসূত্র রয়েছে এবং তালেবান ফেরতরাই হেফাজত, খেলাফত আন্দোলন বা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র এই কট্টর মৌলবাদী সংগঠনগুলোই নয়। বরং বিএনপির মত মূলধারার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো তালেবানদের দ্বারা ক্রমশ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তালেবানদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় হুজি এবং তালেবান গোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল। সেখানে বিএনপির অন্তত দুইজন নেতা আফগানিস্তান ফেরত হুজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আর সেই ধারায় এখন তালেবানদের নব উত্থানের প্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াত আবার তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তালেবানদের যদি উত্থান ঘটে তাহলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিএনপিতে এবং জামায়াতে আবার উগ্রবাদী সক্রিয় হবে। বাংলাদেশে জামাতের সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন কথাবার্তা বলা হচ্ছিল এবং এই সম্পর্ক ট্যাগ করার জন্য বিএনপিকে অনুরোধ করা হচ্ছিল। কিন্তু বিএনপি আজ পর্যন্ত এ সমস্ত কোন অনুরোধই শোনেনি। বরং গত নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতকে ২০টি আসন দিয়েছে।

শুধু জামাতকে আসন দেওয়াই না, বিএনপির ভিতরে তালেবানরা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে এমন তথ্য প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি সামনের দিনগুলোতে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের উপর ভর করে নতুন করে অপতৎপরতা চালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে তালেবানরা শক্তিশালী হওয়ার পরপরই বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে তালেবানপন্থীরা সক্রিয় হয়েছেন। দলের ভেতর তারা নতুন করে মেরুকরণ করছেন এবং ক্ষমতাবান হচ্ছেন এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়