ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আজ অতল গহ্বরে বিএনপির রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২০, ২৯ জুলাই ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দিন যতোই যাচ্ছে, বিএনপি রাজনীতি থেকে ততোই ছিটকে পড়ছে। বিগত ১৪ বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো অতল গহ্বরে যেতে যেতে হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে। মূলত যোগ্য, উপযুক্ত ও পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারণে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ত্যাগী নেতাদের ক্রমাগত অবহেলার কারণে আগামীতে দলটিতে পদত্যাগকারী নেতাদের সংখ্যা বাড়বে বলেও মনে করছেন রাজনীতি সচেতনরা।

বিএনপির রাজনীতিতে যোগ্য নেতাদের অবমূল্যায়ন রীতি বহু পুরনো উল্লেখ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) পলিটব্যুরোর সদস্য বলেন, রাজনীতিতে অভিজ্ঞ, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন খুবই জরুরি। একটি দলের লাইফ লাইন হলো দলটির যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব। তাই পরীক্ষিত নেতৃত্বের সঠিক পরিচর্যা করা একটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অথচ সূচনালগ্ন থেকেই বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতাদের অবমূল্যায়ন করে আসছে। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া, এমনকি তারেক রহমানের জামানাতেও বিএনপিতে পরীক্ষিত নেতাদের অপমান-অপদস্থ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভুলের রাজনীতির কারণে বি. চৌধুরী, শমসের মুবিন চৌধুরী, তানভীর সিদ্দিকী, ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মতো প্রতিষ্ঠাকালীন অনেক নেতা সম্মান বাঁচাতে দলত্যাগ করেছেন। এগুলো বিএনপির রাজনৈতিক অধঃপতন ও অবমূল্যায়নের উপযুক্ত প্রমাণ। বেগম জিয়ার অজ্ঞতা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে বিএনপিতে দলত্যাগী নেতাদের মিছিল বাড়ছে।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির রাজনীতি থেকে দূরে থাকা দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, দলে অবমূল্যায়িত হয়ে মুখ দেখাতে এখন লজ্জা লাগে। দীর্ঘদিন দলের রাজনীতি করে জেল-জরিমানার শিকার হলেও স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে পারিনি। এরচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কী হতে পারে!

তিনি আরো বলেন, যোগ্যদের বাদ দিয়ে হাইব্রিড ও পয়সাওয়ালাদের কাছে পদ বিক্রির রীতি বিএনপিতে নতুন নয়। তৃণমূল পর্যায়েও এমন অভিযোগ অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। আমার মতো নেতাদের বিএনপির রাজনীতিতে অপমান, গঞ্জনা ও প্রতারণা ছাড়া বিকল্প কিছু কপালে জোটেনি। অথচ এই দুঃখ প্রকাশ করার জায়গা নেই।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়