ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা করছে ইসকন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ১৯ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন ধরে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ‘শক্তঘাটি’ বানাতে তৎপরতা চালাচ্ছে উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ‘ইসকন’। নিজেদের শক্ত-ভিত তৈরি করার জন্য মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে সনাতন হিন্দুদের সাথেও। সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসকন।

এবার ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়’ গঠনের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন শুরু করেছে কট্টরপন্থী এই হিন্দু সংগঠনটি।

সাম্প্রদায়িক আন্দোলনের নামে তারা দাবি তুলেছে, ‘সংখ্যালঘু কমিশন’, ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়’ এবং জাতীয় বাজেটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জিডিপির ১৫% বরাদ্দ দিতে হবে তাদের।

জানা যায়, সরকারকে চাপে ফেলে এসব স্বার্থ হাসিলের জন্য সারা দেশে সাম্প্রদায়িক আন্দোলন জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে ইসকন হিন্দুরা। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে চাপে ফেলার জন্য অনলাইন অফলাইনে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে তারা।

রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের যে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে সেটি ২০২০ সালের ভারতের ত্রিপুরার একটি ব্যাটারি ফ্যাক্টরির। এ ঘটনা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে ইসকনের এজেন্টরা বাংলাদেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব মিথ্যা ছড়াচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, নোয়াখালীর ঘটনাকে ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা এবং ‘৭১-এ গণহত্যার সাথে তুলনা করে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছের চিঠিও পাঠিয়েছে তাদের বিদেশি নেতারা। এ ঘটনায় একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাংলাদেশে ইসকনের শক্তঘাটি তৈরির পিছনে কাজ করছে তাদের আন্তর্জাতিক শক্তি।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ইহুদি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ইসকন বাংলাদেশে এসেছে হিন্দুদের উপকার করতে নয় বরং ক্ষতি করতে। বাংলাদেশে হিন্দুরা যে সুখের স্বর্গে বাস করে তা ধ্বংস করাই এ গোষ্ঠীটির কাজ। বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছে এই ইসকন। তাদের উপর দিয়ে অতিহিন্দু মনে হলেও এদের মূল উদ্দেশ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কৌশলে ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়াই।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়