রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম কারাগারে
নিউজ ডেস্ক
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি
নাশকতার দায়ে দায়ের করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত শুনানি শেষ এই আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে মঞ্জুরুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৫ মে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ২০১৩ সালের পল্টন থানার এক মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামি পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২২ এপ্রিল পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে মতিঝিলের দুই মামলা ও পল্টন থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তিন মামলায় সাত দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দিকে (৫৫) গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর ১৫ এপ্রিল নাশকতার মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মহাসচিবের দায়িত্বেও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।
সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্তের অংশ হিসাবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য, একই সঙ্গে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।
- মানহানি মামলা করতে গুলশান থানায় শাকিব খান
- পাপুলকে ২১ দিন কুয়েতের কারাগারে রাখার নির্দেশ
- সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল
- পানির দাম বাড়ানোর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
- নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি
- পাঁচ মাস পর খুলেছে উচ্চ আদালত
- আজ কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন আরো ৩৮৫ বন্দি
- ভার্চুয়াল কোর্ট: বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ
- স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পাবেন আইনজীবীরা
- স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় স্থগিত চেয়ে রিট