যোগাযোগের সব মাধ্যমে যুক্ত থাকবে থার্ড টার্মিনাল
নিউজ ডেস্ক
যোগাযোগের সব মাধ্যমে যুক্ত থাকবে থার্ড টার্মিনাল
মেট্রোরেল, র্যাপিড বাস ট্রানজিট, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ যোগাযোগের সব মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে বিশাল কার্গো টার্মিনালেও থাকবে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি এগিয়ে চলছে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজও। বিমানবন্দরে পণ্য কিংবা যাত্রীদের আসা-যাওয়া সহজ করতে এসব প্রকল্প যুক্ত হবে থার্ড টার্মিনালে।
তৃতীয় টার্মিনালে যেতে কয়েকটি পথ ব্যবহার করা যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে সরাসরি টার্মিনালে নামার সুযোগ থাকবে। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে আসা যাত্রীরা যানজট ছাড়াই উড়াল সেতু দিয়ে ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে পারবেন।
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, “ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যারা ব্যবহার করবেন তারা কিন্তু যানজটে থাকবে না। থার্ড টার্মিনালের সাথে সমন্বয় করাতে উত্তর দিক থেকে যারা আসবেন তারা আসবেনও ফ্লাইওভার-এক্সপ্রেসওয়ে করে। ঢুকবেন এবং বের হয়ে যাবেন সরাসরি। গ্রাউন্ডের ট্রাফিকের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু হবেনা।”
মেট্রোরেল-১ কমলাপুর থেকে সরাসরি রাজারবাগ-মালিবাগ-রামপুরা হয়ে খিলক্ষেত দিয়ে কাওলা স্টেশনে যাবে। এরপর কাওলা স্টেশন থেকে ২০০ মিটারের সুড়ঙ্গপথ দিয়ে বিমান বন্দরে পৌঁছাবে। যা তৈরির কাজ চলছে এখন। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টার্মিনালে নামার জন্য সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজও চলছে।
অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, “এখন মাটির তলদেশ দিয়ে তারা হাইওয়ের উল্টো পাশে গেলেই কিন্তু বাস পেয়ে যাবেন, মেট্রো পেয়ে যাবেন।”
তবে, বিমান বন্দরের বাইরের রাস্তা, উত্তরখান, দক্ষিনখানসহ কিছু কিছু বিষয় আরও পর্যালোচনার করার পরমর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।
টার্মিনালের ৬৩ হাজার বর্গফুট জায়গায় আমদানি-রফতানি কার্গো কমপেক্স নির্মাণ করা করা হচ্ছে। এতে কার্গো টার্মিনালের সক্ষমতা অনেক বাড়বে বলে জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, “এক্সপোর্টার রুম, কার্গো টার্মিনাল, ইম্পোর্টার কার্গো টার্মিনাল- আগের ক্যাপাসিটি থেকে প্রায় তিনগুণ ক্যাপাসিটির হচ্ছে।”
এছাড়া নতুন এ টার্মিনাল নির্মাণের কারণে বিমানে রি-ফুংয়েলিং, ট্রানজিটসহ আরও নানা সুবিধার কথাও জানান তিনি। বলেন, এটি হবে বাংলাদেশের জন্য নতুন অধ্যায়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, “এভিয়েশন হাব হওয়ার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা এখানে দরকার আমরা সেগুলো তৈরি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ওই ধরনের সুবিধা দিয়ে সেগুলো গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বেশি অবদান রাখতে পারবে।”
নতুন টার্মিনালটি নির্মিত হলে শাহজালাল হবে যাত্রী হয়রানি ও ভোগান্তিমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের এক বিমানবন্দর।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে