ফাল্গুনের রঙে হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
আজ ভালোবাসা দিবস। প্রতিবছর ঠিক ১৪ ফেব্রুয়ারির এই দিনটিতে আমরা সবাই প্রিয়জনদের কাছে আমাদের অনুভূতিগুলো একটু মেলে ধরতে চাই। এ দিবসটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের উৎসব বা ভালোবাসা দিবস নামেও পরিচিত। দিনটি প্রেম, বন্ধুত্ব এবং প্রশংসা উদ্যাপনের একটি বার্ষিক উৎসব।
প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রেমের পাখিরা বিশেষ কাউকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে ভালোবাসা এবং স্নেহের বার্তা পাঠিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে এই দিনটিতে। যদিও ভালোবাসা দিবসটি ১৪ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন হয়ে থাকে, তবে এই ভালোবাসা বা ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। পুরো সপ্তাহটি বিভিন্ন দিন যেমন: রোজ ডে, চকলেট ডে, টেডি ডে এবং অন্যান্য দিনের জন্য উৎসর্গ করা হয়, যাতে ভালোবাসার চেতনা বজায় থাকে। অবশেষে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে দিয়ে এই সপ্তাহের সমাপ্তি হয়।
ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয় তৃতীয় শতাব্দীর রোমান সাধক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের সম্মানে। পরবর্তী সময়ে লোক ঐতিহ্যের কারণে এটি বিশ্বের অনেক অংশে রোমান্স এবং প্রেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক উদ্যাপনে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই মনে করেন, প্রেমের বিশেষ দিনটি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত লুপারক্যালিয়ার রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত হয়েছে। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস লুপারক্যালিয়া এই উৎসব উদ্যাপনের সমাপ্তি ঘটান।
ব্রিটানিকার মতে, দিনটির নাম ভ্যালেন্টাইন নামের এক পুরোহিতের নাম অনুযায়ী হতে পারে, যিনি ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সম্রাট ক্লডিয়াস দ্বিতীয় গথিকাস দ্বারা শহীদ হয়েছিলেন। এর কারণ, তিনি গোপনে খ্রিষ্টান দম্পতিদের বিয়ে করতে সাহায্য করছিলেন যুদ্ধ থেকে স্বামীদের রক্ষা করতে। সম্রাটের বিবাহে বিশ্বাস ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন, অবিবাহিত সৈন্যরা বিবাহিত সৈন্যদের চেয়ে ভালো।
এ দিবসটি ১৪ এবং ১৫ শতকের দিকে রোমান্টিক প্রেমের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৮ শতকের দিকে ইংল্যান্ডে দিনটি এমন একটি উপলক্ষ হয়ে ওঠে, যেখানে দম্পতিরা তাদের প্রিয়জনদের ফুল, মিষ্টি এবং শুভেচ্ছা কার্ড দিয়ে তাদের ভালোবাসার আবেগ প্রকাশ করার রেওয়াজ চালু হয়ে যায়।
তাই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে দ্বিধা করা উচিত নয়। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখুন বসন্তের নানা রঙে আর আবেগের মধ্য দিয়ে।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার সহজ সাত টিপস
- ঝাল রসগোল্লা!
- চুলের রং দীর্ঘস্থায়ী করতে যা করবেন!
- অল্প উপকরণে ঝটপট তৈরি করুন মচমচে জিলাপি
- ২৪ ঘণ্টায় কতবার চিন্তা করেন, হিসাব করেছেন কি?
- ইফতারে প্রাশান্তি দেবে দই বেলের লাচ্ছি
- ওজন কমাতে মেথি ব্যবহার করবেন যেভাবে
- মায়ের জন্যই সন্তান বুদ্ধিমান হয়: গবেষণা
- শিশু কিংবা বয়স্কদের কান পাকা রোধে করণীয়
- ইফতারে মিনিটেই তৈরি প্রাণ জুড়ানো লাচ্ছি