ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনে রেকর্ড ১৮.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ১৬ এপ্রিল ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) রেকর্ড ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মহামারির মধ্যে গত বছরের শুরুতে দেশটির অর্থনীতিতে যে মন্থর গতি দেখা গিয়েছিল, তার ঠিক উল্টো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় শুক্রবার।

সংবাদ সংস্থা এএফপি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিল্প কারখানায় পুরোদমে কর্মযজ্ঞ শুরু ও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি রফতানির ফলে সহজে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মধ্যাঞ্চলীয় উহানে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের খবর জানিয়েছিল চীন। এর পরপরই কঠোর বিধিনিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাসিন্দাদের ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় দেশটি। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার দ্রুত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের প্রবৃদ্ধি নিয়ে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মুখপাত্র লিউ আইহুয়া সাংবাদিকদের বলেন, পুনরুদ্ধারের এ কঠিন যাত্রায় জাতীয় অর্থনীতি শুভ সূচনা করতে পেরেছে।

চীনে প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির এ হার ১৯৯২ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর থেকে দেশটিতে প্রতি প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব প্রকাশ শুরু হয়।

এ বিষয়ে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির প্রধান অর্থনীতিবিদ কু হংবিন বলেন, অর্থনীতির এই পুনরুদ্ধার অসমতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগের পরিমাণ কমেছে; বেড়েছে বেকারের সংখ্যা।

এদিকে করোনাভাইরাসের সৃষ্ট সংকটের কারণে ২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হচ্ছে বলে গত বছরের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।

ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আরও পাঁচ বছর পর (২০৩৩ সাল) চীনের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ভিন্নভাবে মহামারি মোকাবিলা করছে। এ কারণে এগিয়ে যাবে চীন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান অর্থনেতিক ও ক্ষমতার লড়াই বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। করোনা মহামারি ও এ থেকে সৃষ্ট বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক বাস্তবতা নিশ্চিতভাবেই দুই দেশের দ্বন্দ্বকে চীনের পক্ষে দাঁড় করিয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০২১-২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর চীনে গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭ শতাংশ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়