ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গতকাল সকালে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় হাইকমিশনার শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে এসব জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং আগামী ২৫ মার্চ ভুটানের রাজার আসন্ন সফরে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভুটান থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।
নজরুল ইসলাম জানান, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তার দেশের অ্যান্টি-ডাম্পিং পরিমাপকারীদের অপসারণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপকে আধুনিকায়ন করতে পারে।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, গত বছর ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর বাস্তবায়নের জন্য আরও দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লেনদেনে রুপি-টাকার ব্যবহার, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু বায়োপিকসহ দুই দেশের কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারির (সিইপিএ) আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে উত্তরণের পর সিইপিএ সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এলওসিকে প্রকল্পভিত্তিক করে তুলতে একটি নতুন কাঠামো প্রস্তুত করতে নতুন চিন্তাভাবনা ও আলোচনা চলছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে একটি উচ্চ বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে এই চার দেশের যে কোনো অংশে সহজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায়। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সৈয়দপুর থেকে নাটোর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে।
ভার্মা বলেন, বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো ভারতে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরিত করছে। বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা কারখানা স্থাপনে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ। ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, তারা রংপুরে একটি অফিস স্থাপনে আগ্রহী। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে