ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ভোট ১৫২ উপজেলায়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২০, ২২ মার্চ ২০২৪  

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ভোট ১৫২ উপজেলায়

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ভোট ১৫২ উপজেলায়

প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে; বাকি ১৩০টি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করবে ইসি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। গতকাল কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার বেশ কিছু সংশোধন এনে ‘উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণবিধি’ জারি করে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। সব প্রার্থীকেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের ভোট ২৩ মে তৃতীয় ধাপের ২৯ মে ও এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে। ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। জেলাগুলো হলো- কক্সবাজার, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, জামালপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, পিরোজপুর ও মানিকগঞ্জ। বাকি ১৩০টি উপজেলার ভোট হবে কাগজে ব্যালটে। যেসব উপজেলায় ভোট :

রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড় জেলার সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর। নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর। লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা। রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজীবপুর ও চিলমারী। গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগ : জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর। বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর। নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া। সিরাজগঞ্জ জেলার সদর (ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম)। পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম), সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগ : মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগ : বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগ : ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংদী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।

চট্টগ্রাম বিভাগ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুণ্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া (ইভিএম), সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।

প্রসঙ্গত, মে মাসে চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, এখন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থনসূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া এ বছর প্রার্থীরা রঙিন পোস্টারও ছাপাতে পারবেন। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি। তবে প্রার্থী হতে নতুন বিধিমালায় জামানতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয় পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়