পঞ্চম দফায় ভাসানচরে যাচ্ছেন তিন হাজার রোহিঙ্গা
নিউজ ডেস্ক
ভাসানচর
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে পঞ্চম দফায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আগের মতো উখিয়া কলেজ মাঠে ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন রোহিঙ্গারা।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগের মতো যাত্রা করবেন সংশ্লিষ্টরা। আগের মতো এবারও দু’দিন পৃথকভাবে যাত্রা করানো হবে। এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে নেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে।
আগের মতো উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে দিনে দু’ভাগে ভাগ করে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এসব যানবাহন আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়। পুরো ৩৪ ক্যাম্প থেকেই রোহিঙ্গারা ট্রানজিট পয়েন্টে আসা শুরু করেন।
অনেকে সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার সকালে এসে পৌঁছান। বুধবার যারা ভাসানচরের পথে বের হবেন তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ও বুধবার সকাল-দুপুরে ট্রানজিট পয়েন্ট আসবেন। দু’দিনের যাত্রার জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক বাস, একাধিক কাভার্ডভ্যান ও প্রয়োজনীয় অন্য যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিরা বলেন, আগের চার দফা সফল যাত্রার পর ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা স্ব-স্ব ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে নাম জমা দিচ্ছেন। ভাসানচরের পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা সম্পর্কে ব্রিফিং করার পর যারা যেতে রাজি হচ্ছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর হয়।
এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। আজ ও আগামীকাল আরো তিন হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এভাবে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিলেন। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
আর উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত আশ্রয়শিবিরগুলো বেশির ভাগ পাহাড়ের ঢালুতে তৈরি। বর্ষার সময় পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি বিলীন হয়, হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া আশ্রয়ণ শিবিরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও বখাটের উৎপাত বেড়েছে। বেড়েছে খুন, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, ধর্ষণ ও অরাজকতা। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গোলাগুলিতে রোহিঙ্গাদের মৃত্যু ঘটছে। সাধারণ রোহিঙ্গারাও অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাই শান্তিকামী রোহিঙ্গারা ঝুঁকি এড়াতে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এমনটি মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে