জাতিসংঘে টিকার সমতা নিশ্চিতের উপায় দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ধনী-গরিবের টিকার বৈষম্য বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিকার প্রযুক্তি হস্তান্তর সমতা নিশ্চিতের বড় উপায় হতে পারে।বিশ্বসভায় তিনি জানালেন, মেধাস্বত্বে ছাড় পেলে বাংলাদেশও ব্যাপক আকারে টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম।
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান ও জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতাও চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বনেতাদের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এখন যারা জ্যেষ্ঠ রয়েছেন, তাদের অন্যতম ও অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে ১৭বার বিশ্বমঞ্চে বাংলায় ভাষণ নিয়ে সরকার প্রধান।
বিতর্ক পর্বের এই সেশনটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমার সঞ্চালনায় এই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। করোনা মহামারি, রোহিঙ্গা সংকট আর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির মধ্যেও কিভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, বলেছেন সেই কথাও।
দুঃখজনক হলেও এই মহামারি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, এই অভিন্ন শত্রুকে মোকাবিলা করার জন্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন আমাদের অনেক বেশি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈশ্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে তাঁর দেয়া সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-
প্রথমত, কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর এ মহতী অধিবেশনে আমি কোভিড-১৯ টিকাকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বনেতাদের অনেকে তখন এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, সে আবেদনে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। জরুরিভিত্তিতে এ টিকা বৈষম্য দূর করতে হবে। লাখ লাখ মানুষকে টিকা থেকে দূরে রেখে কখনই টেকসই পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। আমরা পুরোপুরি নিরাপদও থাকতে পারবো না।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-মুক্ত বিশ্বের জন্য, আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জন্য সার্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’
সরকার প্রধান জানান, তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে কোভিড-ঊনিশের প্রকোপ আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠনের পর এই প্রথম এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আফগানিস্তানের বিনির্মাণ এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণ আফগানিস্তানের জনগণের উপরই নির্ভর করে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরাল আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারের, সমাধানও রয়েছে তাদের হাতেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এই ভাষণের মধ্য দিয়েই জাতিসংঘে শেখ হাসিনার পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শেষ হলো। শনিবার ব্যক্তিগত সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে