ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

খুলল আট ওভারপাস দুই সেতু

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২২, ৭ এপ্রিল ২০২৪  

খুলল আট ওভারপাস দুই সেতু

খুলল আট ওভারপাস দুই সেতু

ঈদের আগেই এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়কে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সরকার। এ ছাড়াও মেঘনা টোল প্লাজা-২-সহ দুটি টোল প্লাজার ১২টি বুথে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

গতকাল সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এগুলো উন্মুক্ত করেন। এ সময় ঢাকা প্রান্তে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জনগণের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে এসব উন্মুক্ত করা হলো। কাদের বলেন, রাস্তায় গাড়ির চাপ রয়েছে, তবে যানজট নেই। রাজধানীতেও যানজট নেই। এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের জানান, বগুড়ার তিনমাথা রেলগেটে ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি রেলওভারপাস, দুটি সেতু-সিরাজগঞ্জে ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে দাতিয়া সেতু ও ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফটকি সেতু ছাড়াও সিরাজগঞ্জে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে মুলিবাড়ি ওভারপাস, ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যরে পাঁচিলা ওভারপাস ও ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে দাতপুর ওভারপাস, বগুড়ায় ১৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে বি-ব্লক ক্যান্টনমেন্ট ওভারপাস ও ১৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুলতলা ওভারপাস, রংপুরে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ধাপেরহাট ওভারপাস এবং ৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে মির্জাপুর ওভারপাস যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন-ইটিসি কার্যক্রম চালুসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২ এর উদ্বোধন করেন সেতুমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতু ও মেঘনা-গোমতী সেতু টোল প্লাজায় ২০১৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে একটি করে লেনে ইটিসি কার্যক্রম চালু আছে। মেঘনা সেতুর টোল প্লাজায় বিদ্যমান কম সংখ্যক টোল বুথগুলোর মাধ্যমে গাড়ি থেকে টোল কালেকশন করতে গিয়ে বিশেষ করে ঈদের সময় যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমাণ গাড়ি থেকে টোল আদায়ের কারণে ভোগান্তি বেড়ে যায়। এসব বিবেচনায় টোল কালেকশনকে ত্বরান্বিত করতে বিদ্যমান মেঘনা সেতু টোল প্লাজার পাশে নতুন আরেকটি টোল প্লাজা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এই টোল প্লাজায় ছয়টি নতুন টোল কালেকশন বুথ থাকছে। নবনির্মিত মেঘনা টোল প্লাজা-২ এর নতুন ছয়টিসহ ১২টি টোল বুথের মাধ্যমে টোল আদায় হবে। ১২টি টোল বুথের সবকটিতেই ক্যাশ ও ক্যাশলেস (ইটিসি) ট্রানজেকশনের মাধ্যমে টোল দেওয়া যাবে। যেসব যানবাহন ইটিসি পদ্ধতিতে টোল দেবে তারা বিরতিহীনভাবে টোল প্লাজায় না থেমেই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে টোল প্লাজায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেওয়ার ভোগান্তি আর থাকবে না। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী টোল প্লাজায়ও সব লেনে ইটিসি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিগগিরই চালু হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়