ডিজিটাল সংযোগ সুদৃঢ় করতে বিটিসিএল ও জিপি’র মধ্যকার চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক: আইসিটি মন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
দেশব্যাপি ডিজিটাল সংযোগ আরও গতিশীল ও সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ টেলি-কমিউনিকেশন লিমিটেড (বিটিসিএল) ও গ্রামীণফোনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ সেবা সংক্রান্ত এ চুক্তির অধীনে দেশব্যাপি বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগ ও বিটিসিএল টাওয়ারগুলো গ্রামীন ফোন শেয়ারিং করতে পারবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ভার্চ্যূয়াল প্লাটফর্মে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় এ চুক্তি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহিৃত হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিদ্যমান বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইভার নেটওয়ার্ক ও টাওয়ার সেবা গ্রহণের মধ্যদিয়ে গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজবপন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া টিএন্ডটি (বর্তমান বিটিসিএল) বোর্ডের দেশব্যাপি সুবিস্তৃত ডিজিটাল অবকাঠামো সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার করোনাকালে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখায় টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান তুলে ধরে বলেন,সরকারি টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোও অবিস্মরণীয় দায়িত্ব পালন করেছে। তৃণমূল মানুষের ইন্টারনেট পরিসেবা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপি ফোর জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে তারা ‘আমাদের নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করেছেন’।
তিনি বলেন, দেশের কোন কোন মোবাইল অপারেটর ২জি ও থ্রিজি থেকে শতভাগ বিটিএস ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে। এর ফলে তৃণমূলের প্রথম শ্রেণির শিশুটিও ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে ও অনলাইনে ক্লাশ করছে। সবজি ও ফল বিক্রেতা থেকে শুরু করে গরু বিক্রেতা পর্যন্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে।
বিটিসিএল’র সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও গ্রামীণ ফোনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করে। একই বছর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় ৫জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: রফিকুল মতিন এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বিটিসিএল ও গ্রামীণফোনের মধ্যকার এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের দুটি বৃহৎ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতা গ্রাহকদের উপকৃত করবে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে