ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে যেসব সুবিধা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১৯ মার্চ ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সঞ্চয় স্কিমের মাধ্যমে আহরিত অর্থ দ্বারা জাতীয় বাজেটের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্য নিয়ে চালু হয় সঞ্চয়পত্র। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলো। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা দিন দিন বাড়ছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রে মাসিক বিনিয়োগের সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে গেছে। এতে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্রে জমা পড়েছে ৮৫৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল টাকা পরিশোধ করা হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর মুনাফার পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আর জানুয়ারি মাসে পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫০৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

যেখানে পাওয়া যাবে:
জাতীয় সঞ্চয়পত্র ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা এবং নগদায়ন করা যাবে।

মুনাফার হার:
পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফা ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তা ভাঙালে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং চতুর্থ বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যাবে।

যারা কিনতে পারবেন:
সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিক পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। নাবালকের পক্ষেও এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। কোনো ব্যক্তি এই সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে একক নামে ৩০ লাখ অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে আয়কর অধ্যাদেশের ১৯৮৪ এর ষষ্ঠ তফসিল এর পার্ট ‘এ’ এর অনুচ্ছেদ ৩৪ অনুযায়ী মৎস খামার, হাঁস-মুরগির খামার, পেলিটেট পোল্ট্রি ফিডস উৎপাদন, বীজ উৎপাদন, স্থানীয় উৎপাদিত বীজ বিপণন, গবাদি পশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, উদ্যান খামার প্রকল্প, রেশম গুটিপোকা পালনের খামার, ছত্রাক উৎপাদন এবং ফল ও লতা পাতার চাষ থেকে অর্জিত আয় যা সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনারের মাধ্যমে প্রত্যয়নকৃত, তারা এ সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।

অন্যান্য সুবিধা:
পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে এক মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এতে নমিনি রাখা যাবে। ক্রেতা মৃত্যুবরণ করলে নমিনী যেকোনো সময় সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে পারবেন; এমনকি চাইলে মেয়াদ শেষ করেও ভাঙাতে পারবেন।

সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, চুরি হলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়। সঞ্চয়পত্র এক অফিস থেকে অন্য অফিসে স্থানান্তর করা যায় (সঞ্চয়পত্র ব্যুরো থেকে সঞ্চয় ব্যুরো, ব্যাংক থেকে ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ডাকঘর)।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়