ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৩ জানুয়ারির মধ্যে টিকা নিতে হবে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩০, ৭ জানুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশের সব মাদরাসা ও কারিগরির ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে করোনা টিকা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব কাইজার মোহাম্মদ ফারারীর স্বাক্ষরীত আদেশ এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়েছে, টিকা নিয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের উদ্যোগে উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে জন্মনিবন্ধন করার শর্ত দিয়েছিল সরকার। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এক আদেশে এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোডিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার জন্য জন্মনিবন্ধন আবশ্যক। ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া শিশুর জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে BDRIS Software এ বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বর দেওয়ার নিয়ম আছে। কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান ও সুরক্ষা আ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের জন্য সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পাদন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া সনদের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন ছাড়া ন্যূনতম সময়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলা হয়েছে।

দেশে আবার ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে টিকা ছাড়া ১২ বছরের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সারাদেশে গত বছরের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ঐদিন এ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়