ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত থাকতে মুমিন মুসলমানের করণীয়

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২ ডিসেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত অন্তর আল্লাহর রহমত ও নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুপারিশ পেয়ে ধন্য হবে। আর তা থেকে মুক্ত থাকতে হলে মুমিন মুসলমানের করণীয় কী?

হ্যাঁ, হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত থাকতে মানুষের অন্তরে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকা জরুরি। দুনিয়ার যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিতেও অন্তরকে ইখলাসে পরিপূর্ণ করে রাখতে হবে। যে অন্তরে ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা থাকবে, সে অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ স্থান পাবে না।

আর হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত অন্তরের অধিকারী ব্যক্তি আল্লাহর রহমত বরকত ও মাগফেরাত পেয়ে ধন্য হবে। বিদায় হজের ভাষণে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন, ‘তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খেয়ানত করে না-

১. ইখলাসের সাথে আমলসমূহ আল্লাহর জন্য নিবেদন করা;

২. মুসলিম নেতাদের কল্যাণ কামনা করা;

৩. মুসলিম জামাতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকা।( মুসনাদে আহমদ, ইবন মাজাহ)

কোনো ব্যক্তির অন্তরে যখন ইখলাস স্থান পায় তখন ওই ব্যক্তি অনেক বিপদ-আপদ, দোষ-ত্রুটি থেকেও মুক্ত থাকে।

হজরত ইবনে আবদুল্লাহ বার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উল্লেখিত তিনটি গুণ যার অন্তরে বিরাজমান থাকবে তার অন্তর কখনো দুর্বল হবে না। নিফাকী ও কপটতামুক্ত থাকবে তাদের অন্তর।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত থাকতে, অন্তরের মুনাফেকি ও কপটতা থেকে বিরত থাকা। সব কাজ ইখলাসের সঙ্গে পালন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত থাকতে ইখলাসের সঙ্গে সব আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়