ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সৌদিতে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার সাদ্দামের দুইদিনের রিমান্ড

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ৩০ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সৌদিতে পাচারের উদ্দেশ্যে ৮ হাজার ৯৫০ ইয়াবা বহন করার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার যাত্রী সাদ্দামের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে, বুধবার তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, সালাম এয়ারের ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে যেতে সাদ্দাম গতকাল বুধবার ভোর ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। প্রথমে ঢাকা থেকে ওমানের মাসকাট এবং কানেন্টিং ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার কথা ছিল তার।

আসামি সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়। এসব ইয়াবা তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিদের একটি চক্র সাদ্দামকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট বা ভিসা করে দিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাদ্দাম জানান, এই ইয়াবাগুলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো সৌদিআরবে নিতে পারলে সেখানে প্রতি পিস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। সেখানে প্রতি পিস ইয়াবাতে তার ৮-১৩শ টাকা করে লাভ থাকতো। এই ইয়াবাগুলো বিক্রির পর তিনিও একটি লভ্যাংশ পেতেন। ইয়াবাগুলো নিয়ে সৌদিআরবের দাম্মামের এক প্রবাসীর কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল তার।

এ বিষয়ে এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্যদের বেশকিছু নাম পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইয়াবা পাচার সাদ্দামের এটাই প্রথম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ২০২০ সালে আসামি সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইয়াবার বড় এই চালানটব তিনি সৌদি আরবে পাচার করতে যাচ্ছিলেন। তিনি এই পথে নতুন নন।

সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ইয়াবাসেবী রয়েছে বলে জানান জিয়াউল হক। এছাড়াও বেশ কিছু সৌদি নাগরিকও বর্তমানে ইয়াবা সেবন করছেন। মাদকের কারবারিরা লোভে পড়ে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করছেন। তবে আমাদের এখান দিয়ে যাওয়ার বিমানবন্দরের স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে অবশ্যই ধরা পড়বে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়