ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সরকারি আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে খুলনা বিভাগের মৎস্য চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১২ জানুয়ারি ২০২১  

মৎস্য চাষি

মৎস্য চাষি

করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে খুলনা বিভাগের চার জেলার ৬০ হাজার ৮৮০ মৎস্য চাষিকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১০ থেকে ১৮ হাজার টাকা করে প্রণোদনার এ আর্থিক সহায়তা পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন ও মধ্য আয়ের চাষিরা।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চলমান একটি প্রকল্প থেকে মৎস্য চাষিদের এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন করার পর সুবিধাভোগীদের মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এ অর্থ প্রদান করা হবে।

খুলনা বিভাগীয় উপপ্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় চলমান মৎস্য অধিদফতরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’-ভুক্ত উপকূলীয় ১৬ জেলার ৭৮ হাজার চাষিকে এ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। তার মধ্যে খুলনা বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাট জেলার ২৭ উপজেলার ৬০ হাজার ৮৮০ চাষি এ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। উপজেলা থেকে তালিকা প্রস্তুত করে জেলা কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে এ নগদ অর্থ।

খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় ১২০ জন কাঁকড়া চাষি ও ৩০ জন কুঁচিয়া সংগ্রহকারীসহ মোট ৯ হাজার ৮৫৯ জন, যশোরের দুটি উপজেলায় ১ হাজার ৮৩১ জন, বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় কাঁকড়া চাষি ১ হাজার ৬৩ জন ও কুঁচিয়া সংগ্রহকারী ১২ জনসহ মোট ২৮ হাজার ৪১৪ জন চাষি এবং সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় কাঁকড়া চাষি ৫৩৭ জন ও কুঁচিয়া সংগ্রহকারী ৬৮ জনসহ মোট ২০ হাজার ৭৭৬ জন মৎস্য চাষি এই অর্থ সহায়তা পাবেন।

খুলনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পাচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১ জন কাঁকড়া চাষিসহ মোট পাচ্ছেন ৪ হাজার ১১৪ ক্ষতিগ্রস্ত চাষি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরম ক্ষতিগ্রস্ত কয়রা উপজেলায় পাচ্ছেন ৫৪১ জন চাষি।

এছাড়া বটিয়াঘাটায় ৫৩৩, দাকোপে ৬২৭, রূপসায় ৮৫৪, ফুলতলায় ৯০৩, দিঘলিয়ায় ৬৬৯ ও পাইকগাছার ১ হাজার ৬১৮ জন চাষির নাম চূড়ান্ত করে পাঠানো হয়েছে।

যশোরের কেশাবপুরের ৭৮০ ও মনিরামপুরে ১ হাজার ৫১ জন চাষির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সহায়তা পাচ্ছে। এ উপজেলায় ৫ হাজার ৩৭২ জন চাষির নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে কম পাচ্ছে কলারোয়া উপজেলায়। এ উপজেলায় ৫২৭ জন চাষি সুবিধা পাচ্ছেন।

এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৮৭, শ্যামনগরে ৪ হাজার ৮০৫, আশাশুনিতে ৪ হাজার ১৮৪, দেবহাটায় ১ হাজার ৭১২ ও তালায় ২ হাজার ৯৮৯ জন চাষির তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।

বাগেরহাটে সবচেয়ে বেশি পাবে চিতলমারী উপজেলায়। এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬৮৫ জন চাষি এ সহায়তা পাবেন। এছাড়া সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৪২, মোল্লাহাটে ৪ হাজার ৪৬২, মোংলায় ২ হাজার ৪৮৮, ফকিরহাটে ৪ হাজার ৩২, রামপালে ৪ হাজার ৭৪, মোরেলগঞ্জে ২ হাজার ৪৩৪, কচুয়ায় ১ হাজার ৪৬২ ও সিডরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলায় ৭৩৫ জন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়