ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সরকার ও মিল মালিক একে অপরের পরিপূরক : খাদ্যমন্ত্রী

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২  

সরকার ও মিল মালিক একে অপরের পরিপূরক : খাদ্যমন্ত্রী

সরকার ও মিল মালিক একে অপরের পরিপূরক : খাদ্যমন্ত্রী

সরকার ও মিল মালিকেরা একে অপরের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয় বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর ) ঢাকার বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিল-মালিকরা কখন, কোথায় এবং কতটুকু চাল বিক্রি করেন সেটা তারা ছাড়া কেউ জানে না। খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সোজা আঙুল তুলে মিল মালিকদের দিকে। তখন মিল মালিকরা চুপ করে থাকেন। কোনও প্রতিবাদ করেন না। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা কাজ করে যে মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে মিলগেটে বিক্রিত চালের দাম দেওয়া থাকলে খুচরা বিক্রেতা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে চালের দাম বেশি নিতে পারবে না। এসময় তেলের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে কেজি প্রতি ৫/৬ টাকা চালের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।

চুক্তি করেও যারা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেনি তারা যদি যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন তাহলে বিবেচনা করা হবে। তবে চাল প্রকিউরমেন্টে সরকারকে সহায়তাকারী আর অসহায়তাকারী মিল মালিককে সমানভাবে পরিমাপ করা হবে না বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

সরকারি ধান চাল সংগ্রহে কম মূল্য দেওয়া হয় এমন এক বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১১টি মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দাম নির্ধারণ হয়। সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়। বোরো সংগ্রহে ধান চালের দাম সঠিক ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে কারণে কৃষক নায্যমূল্য পেয়েছে প্রকিউরমেন্ট ও শতভাগের বেশি হয়েছে। আমন সংগ্রহ সময়ে ডিজেল, সার ও বিদ্যুতের দাম বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাজারে মিনিকেট নামে চাল নেই। অনেকে বলেন মিলাররা চাল কেটে সরু করেন। এটা সত্য নয়। চাল সরু করতে গেলে ভেঙে যায়। তবে বিভিন্ন মেশিনের মাধ্যমে পোলিশ করে চকচকে করা হয়। এসময় তিনি ধান চালের দাম নির্ধারণে মিলারদের প্রতিনিধি রাখার অনুরোধ জানান।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, মিলারদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোক্তাদের কাছে জানিয়ে দিতে হবে যে মিলগেটে আজ কত টাকা দামে চাল বিক্রয় হলো। তাহলে খুচরা বিক্রেতা যে দাম বাড়ানোর জন্য মিলারদের দোষ দেয় সেটা থেকে তারা মুক্তি পাবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়