ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সংখ্যালঘু নির্যাতনের পথিকৃৎ দল বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৭ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা হয়েছে তাই বলে কি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দির আক্রমণ করতে হবে? ইসলাম কি তা সমর্থন করে? অবশ্যই করে না। যদি না করে তাহলে আবেগের বশীভূত হয়ে বিবেক হারিয়ে ফেলছি না তো আমরা?

যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানেই তদন্ত হবে, প্রমাণ সাপেক্ষে দোষীদের সাজা হবে। কিন্তু যখন এই ঘটনা নিয়ে গুজব ছড়ানো, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা, আইন হাতে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। তখনই পরিষ্কার হয় এর পেছনে রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নীলনকশা।

লক্ষ্য করলে দেখা যায়, কুমিল্লার এই ঘটনাকে ঘিরে গুজব রটানো হচ্ছে। গোটা বাংলাদেশের মুসলমানকে জেগে উঠার আহ্বান জানানো হচ্ছে। উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে।

এখন প্রশ্ন হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হলে লাভবান হয় কারা? এ বিষয়ে বিজ্ঞজনরা বলছেন, দেশের শান্তি বিনষ্ট হলে সরকার চাপে পড়বে। আর লাভবান হবে বিএনপি-জামায়াত। আর ক্ষমতা দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তারা। এছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের পথিকৃৎ এই দলটি শুরু থেকেই হিন্দু বিদ্বেষী।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে যারা দেশের মুসলমানদের জেগে উঠার আহ্বান জানিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। পুলিশের সাইবার টিমের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে, গুজব ছড়ানো প্রতিটি ফেসবুক একাউন্ট এবং পেইজ বিএনপি-জামায়াত দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত।

জানা যায়, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কোরআনের প্রকৃত অবমাননাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকরা।

তাদের দাবি, এটা পরিষ্কার। যারা গুজব ছড়িয়ে দাঙ্গা বাধাতে চেয়েছে, তারাই কোরআন অবমাননা করেছে। তাদের শাস্তি দিতে হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর ধর্মকে ব্যবহার করে এমন জঘন্য অপরাধ করার কথা চিন্তাও না করে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়