শেয়ারবাজারে যোগ হলো ৯৯০ কোটি টাকা
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের মধ্যে বেশ চাঙা হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। গেলে সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৯৯০ কোটি টাকা বেড়েছে। এতে লকডাউনের নয় সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসই শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৯০ কোটি টাকা।
আগের আট সপ্তাহেও বড় অঙ্কের মূলধন বাড়ে বাজারটিতে। আগের আট সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ৪৯ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে লকডাউনের নয় সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৫০ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। আগের আট সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৯৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ টানা নয় সপ্তাহের উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ল ৮১১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অপরদিকে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৮৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড, সন্ধানী লাইফ, ইফাদ অটোস, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স।
- Cashless society to expedite country`s development, ease revenue collection : Prime Minister
- প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় করোনায়ও সচল অর্থনীতি
- ডিএসইর লেনদেন সাড়ে ১১শ কোটি টাকা ছাড়াল
- ১১শ` কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হচ্ছে রেলের নতুন বগি ও ইঞ্জিন
- বাংলাদেশকে ৮৬০ কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি
- দেশেই বাজাজের অটোরিকশা তৈরি করবে রানার
- এবারের বাণিজ্য মেলা হতে পারে অনলাইনে
- সম্ভাবনাময় ই-কমার্স ॥ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে
- পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন
- আরেকটি নতুন মাইলফলকের পথে রিজার্ভ