ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ

শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ

দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে মেট্রোরেলও। এবার অপেক্ষার পালা আমিাদের আরও এক স্বপ্নপূরণের। প্রায় শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর কাজ।ঘনিয়ে আসছে উদ্বোধনের সময়ও। নিরাপত্তাবলয় তৈরি, বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি যেসব কাজ আছে, তা শেষ করেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হতে যাচ্ছে চলমান এই মেগা প্রকল্পটির কাজ। তবে ফেব্রুয়ারিতে টানেলের পুরো কাজ সম্পন্ন হলেও যানবাহন চলাচলের জন্য কবে খোলা হবে, তা এখানো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে ফেব্রুয়ারিতেই টানেল যাতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যায়, তার প্রস্তুতি চলছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, টানেলের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশেরও বেশি। টানেলের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ওয়্যার্সের মধ্যে ক্যাবল কানেকশন, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, লাইটিং কাজ চলমান রয়েছে। জেট ফ্যান ইনস্টলমেন্টও শেষ হয়েছে।  টানেলের দুপাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের ৫ হাজার ৩৫০ মিটার কাজও প্রায় শেষ। অন্যান্য চলমান কাজও দ্রুত শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে। আমা করা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে। এছাড়াও এ পর্যন্ত শেষ হওয়া কাজে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে, সেগুলোরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সেতু ও শাহ আমানত সেতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল প্রস্তাব করা হয়েছে।  এই প্রস্তাবনায় প্রাইভেট কার, জিপ ও পিকআপের জন্য ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ২৫০ টাকা, ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৩০০ টাকা এবং ৩২ বা এর চেয়ে বেশি আসনের বাসের জন্য ৪০০ টাকা, পাঁচ টনের ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা, পাঁচ থেকে আট টনের ট্রাকের জন্য ৫০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের জন্য ৬০০ টাকা, ট্রাক (তিন এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রেইলর (চার এক্সেল) ১ হাজার টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি ট্রেইলরের জন্য ১ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা বাড়তি টোল নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।  তবে প্রাথমিক ভাবে তিন চাকার গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিষয় এখানো বিবেচনা করা হয়নি।  সেতু বিভাগ থেকে পাঠানো এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের পরেই আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করবে।  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পরই টোলের হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।  

প্রসঙ্গত, এই টানেলের এক প্রান্তে রয়েছে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা এবং অন্য প্রান্তে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর।  এই টানেল শহর ও গ্রামকে এক সুতায় যুক্ত করবে। চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা উপজেলাকে এক করে চীনের সাংহাই নগরীর আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’- পরিকল্পনায় এগাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ও চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়