শুল্ক কমিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাল আমদানির প্রস্তাব
নিউজ ডেস্ক
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে শুল্ক কমিয়ে বেসরকারিভাবে চিকন চাল আমদানির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
গত বছরের মতো এবারও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ৫০ টাকায় পৌঁছে গেছে। চালের বাজারের লাগাম টানতে গত বছরও শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করেছিল সরকার। চাল আমদানি শুল্ককর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত বছরের ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিল।
গত বছরের ১৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু মাত্র তিন লাখ টনের মতো চাল আমদানি হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেছেন। এজন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি কোনো নির্দেশনা ছিল কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ তো রয়েছেই। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি, আমাদের খাদ্য মজুত আছে। ওএমএসটা যাতে সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, ডিসিদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিম করা হবে। কোনো মজুতদার যদি মজুত করে থাকে, সেটাও চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দরকার হলে তাদের মোবাইল কোর্ট করা এবং মজুত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মামলার করার নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা টাস্কফোর্স করে মন্ত্রণালয়ে কন্ট্রোল রুমও করেছি।’
‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। আরও ট্যাক্স কমিয়ে কিছু সরু চাল বেসরকারিভাবে আমদানি করা যায় কি না। এটা আমরা আলাপ করে ফাইল পাঠিয়েছি। তবে এটা ঠিক, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস- আমরা সুষ্ঠু মনিটরিংয়ে আছি। আপানারাও (সাংবাদিক) যদি মনিটরিংয়ে থাকেন, কোনো অবৈধ মজুতের বিষয়ে যদি আমাদের তথ্য দেন, আমরা যদি ওখানে হানা দিতে পারি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস চালের দাম আনকন্ট্রোল্ড হওয়ার কোনো অবস্থা নেই’ বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ৭৬০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে