লক্ষ্মীবাউর জলাবন টানছে পর্যটকদের
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে লক্ষ্মীবাউর জলাবনের অপার সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের। সাম্প্রতিককালে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন যানবাহনে শত শত পর্যটক এই জলাভূমি ঘুরতে আসছেন। অনেকে পিকনিক স্পট হিসেবেও এই জলাবনকে বেছে নিয়েছেন।
গত শনিবার জলাবন এলাকায় নারী শিশুসহ অন্তত ৪০০ পর্যটকের আগমন ঘটে। এ সময় বানিয়াচং প্রেস ক্লাবের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আগত স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বলেন, ইতিমধ্যে আদর্শবাজার থেকে আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘সাবমার্জেবল’ যে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে এর একটি বড় অংশ এই জলাবনের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধা হয়েছে। লোহাচুড়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে যোগাযোগব্যবস্থা পরিপূর্ণ রূপ লাভ করবে। জেলার বানিয়াচং উপজেলার প্রান্তসীমানায় খড়তি নদীর দক্ষিণ দিকে বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত লক্ষ্মীবাউর জলাবন এলাকাবাসীর নিকট খড়তির জঙ্গল নামেও পরিচিত। বর্ষাকালে দূর থেকে জঙ্গলটিকে দেখে মনে হবে যেন হাওরের পানির ওপর ভাসছে।
হবিগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১২ মাইল দূরবর্তী বানিয়াচং উপজেলা সদর। সেখানকার আদর্শ বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার উত্তরে হাওরের মধ্যে এ জলাবন। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী জীবজন্তু। বানিয়াচংয়ের হিলালনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত দাশ (৬৮), কড়চা গ্রামের বিনয় ভূষণ দাশ, হারনি গ্রামের রিপন দাশ ও তার স্ত্রী শিখা রানি দাশ, নেত্রকোনার ধর্মপাশা উপজেলার পিআইও প্রজেশ চন্দ্র দাশ ও সিলেটের বিশ্বনাথের প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা সুজিতা রানি দাশসহ অনেকেই বলেন, জলাবনের সৌন্দর্য সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এজন্য পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল জলাবনকে কেউ কেউ দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট হিসেবে উল্লেখ করলেও বানিয়াচঙ্গের লক্ষ্মীবাউর সোয়াম্প ফরেস্ট একই শ্রেণিভুক্ত কি না তা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বানিয়াচং প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান। বানিয়াচং প্রেস ক্লাব সভাপতি মোশাহেদ মিয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার প্রয়াসে লক্ষ্মীবাউর জলাবনকে জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত করা সম্ভব। বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটকদের বসার শেড, শৌচাগার ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- দর্শনীয় স্থান: উত্তরার দিয়াবাড়ি
- বান্দরবানের মুনলাই পাড়া: দেশের সুন্দরতম গ্রাম
- সাজেক ভ্যালি: মেঘের ভেলায় এক স্বর্গীয় রাজ্য
- নেপালে ভ্রমণের শীর্ষ ১০ স্থান
- দর্শনীয় স্থান: মাধবপুর লেক
- দর্শনীয় স্থান: নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ
- দর্শনীয় স্থান: কেরানীগঞ্জের সাউথ টাউন
- ৫০ দিনে যেভাবে বদলে গেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- আমাজন জঙ্গল রহস্য ঘেরা এক মহাবিস্ময়
- নিলাদ্রি লেক: এ যেন বাংলাদেশের ‘কাশ্মীর’