ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

রিমান্ড শেষে জামায়াত সেক্রেটারিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার

জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার

রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে আসামি গোলাম পরওয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়৷ এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মালেক। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৬ মার্চ বিকেলে এ মামলার আসামি মাওলানা মামুনুল হক জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভেতরে নাম না জানা জামায়াত-শিবির, বিএনপি, জঙ্গি, মৌলবাদী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশব্যাপী গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার পতনের লক্ষ্যে হামলার পরিকল্পনা করেন তারা। এর ফলশ্রুতিতে মামুনুল হকের নির্দেশনায় আসামিরা চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ সারা দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে সংবিধান লঙ্ঘন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, মসজিদ ভাঙচুর করে দেশকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর, মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে অবৈধ পথে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোলাম পরওয়ার মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে একাধিক সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। 

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি বানচাল করা ও ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অস্ত্র নিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলাসহ নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফ-উজ-জামান মামলাটি দায়ের করেন। 

এর আগে, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার। ১২ সেপ্টেম্বর তার আরো দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর রিমান্ড শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়