ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ১৯ আগস্ট ২০২২  

রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি

রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি

রাসুল (সা.) এর কবরকে রওজা বলা হয়। কিন্তু কেন বলা হয়? কিংবা রাসুল (সা.)-এর কবর কে খনন করেন? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। অথচ প্রতিটি মুসলমানকেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে রাখা দরকার।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাফনস্থল বা কবরকে রওজা বলা হয়। কারণ হলো, রওজা শব্দের অর্থ বাগান। এখানে রওজা বা বাগান দ্বারা উদ্দেশ্য, ‘জান্নাতের একটি বাগান।’

যেহেতু প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরটি জান্নাতের নেয়ামতে ভরপুর একটি পবিত্র বাগান। তাই এ অর্থে তার কবরকে ‘রওজায়ে আতহার’ (পবিত্র বাগান), রওজা শরিফ ইত্যাদি বলা হয়। (সহীহ বুখারী ১/১৮৬; সহীহ মুসলিম ১/২০১; কবরকে রওযা বলা : জামে তিরমিযী ২/৭৩; (কবরে নিষিদ্ধ কার্যাবলি ? সহীহ বুখারী ১/১৮৬; সহীহ মুসলিম ১/২০১; জামে তিরমিযী ১/৭৩)।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সময় মদিনায় সাধারণত দুই ব্যক্তি দুভাবে কবর খনন করতেন। একজন মুহাজির সাহাবি আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ (রা.)। তিনি মক্কাবাসীর মতো ‘শক’ খনন করতেন। অন্যজন আনসারি সাহাবি আবু তালহা (রা.)।

রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-এর কাফন-দাফন বিষয়ে পরামর্শে বসলেন। কবর খনন বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিল, দুজনের কে এবং কোন ধরনের কবর খনন করবে? সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো, দুজনের মধ্যে যিনি আগে আসবেন তিনিই তার নিয়মানুযায়ী ‘শক’ বা ‘লাহদ’ খনন করবেন। তখন দুজনের একজনও ওই মজলিসে উপস্থিত ছিলেন না।

একই সময় উভয়কে ডেকে আনার জন্য লোক পাঠানো হলো। এদিকে সাহাবায়ে কেরাম দোয়া করতে থাকলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আবু তালহা (রা.) আগেই উপস্থিত হলেন। এভাবে তিনিই রাসুল (সা.) এর জন্য ‘লাহদ’ কবর খনন করার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক : ৩/৪৭৬, হাদিস : ৬৩৮৪)

সর্বশেষ
জনপ্রিয়