ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলার প্রতিবেদন ২৭ মে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৭ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বায়তুল মোকাররম ও পল্টন এলাকায় নাশকতার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত মামলা এজাহার গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টন থানায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান বাদি হয়ে মামলাটি  করেন।

এ মামলার আসামি অন্য আসামিরা হলেন- সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা লোকমান, মাওলানা নাসির উদ্দিন, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, মাজেদুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা মাসুদুল করিম, মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের এবং মাওলানা হাফেজ মো. তৈয়ব।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। ফরজ নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল, ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা প্রকারের রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিতে দেখেন। সেখান থেকে বের হয়ে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজতের উগ্র মৌলবাদী ব্যক্তির উচ্ছৃঙ্খল জমায়েত দেখতে পান। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি-হেফাজত নেতারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে সারাদেশে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন।

সেই লক্ষ্যে সেখানে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয়া হয়। হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দা, ছোরা, কুড়াল, কিরিচ, হাতুড়ি, তলোয়ার, বাঁশ, গজারী লাঠি, শাবল ও রিভালবার, পাইপগানসহ অন্যান্য আগ্নেয়ান্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত আমিসহ অন্যান্য সাধারণ মুসল্লিদের ওপর হামলা করে।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, মামুনুল হকের প্রত্যক্ষ হুকুমে হেফাজত নেতা মওলানা জুনায়েদ আল হাবিব তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি দেন। এ সময় প্রাণরক্ষায় বাদী সরে গেলে আল হাবিব তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে বড় রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অন্য হেফাজত নেতারা বাঁশের লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। মামলার একজন সাক্ষীকেও ধারালো কেচি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথার পেছনে গুরুতর জখম করা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়