ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ভোলায় দুূর্যোগ মোকাবেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩৮টি মুজিব কিল্লা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ৩ নভেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভোলা জেলায় প্রাকৃতিক দুূর্যোগ মোকাবেলায় ৩৮টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে। দুূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের’ মাধ্যমে এসব বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬টি, দৌলতখানে ২ টি, বোরহানউদ্দিনে ১ টি, তজুমদ্দিনে ৯ টি, লালমোহনে ৭ টি, চরফ্যাশনে ৭ টি ও মনপুরায় ৬ টি কিল্লা রয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে এসব কিল্লায় কয়েক হাজার মানুষ ও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে। ইতোমধ্যে ৬টি কিল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ শুরু করা হবে।

মুজিব কিল্লা নির্মাণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, মোট কিল্লার মধ্যে এ ক্যাটাগরীর ১৮টি ও বি টাইপ ২০ টি কিল্লা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গ্রেডের কিল্লা ৫০ ফুট বাই ১২০ ফুট, বি গ্রেডে ১৬০ ফুট বাই ১৫০ ফুট জমির উপর নির্মিত হবে। প্রত্যেকটি কিল্লা জমি থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় একতলা বিশিষ্ট নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া এ ক্যাটাগরির কিল্লায় গবাদি পশু রাখা যাবে প্রায় সাড়ে ৪’শ ও ৬২৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। বি গ্রেডে ৪১০ গবাদি পশু ও সাড়ে ৭’শ মানুষ  দুর্যোগকালীন সময় অবস্থান নিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ভোলা সদরে ২ টি, মনপুরায় ৩ টি ও চরফ্যাশনে ১টি মুজিব কিল্লার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে। বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে এসবের কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেক কিল্লায় ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি পুরুষ ও নারীরদের জন্য আলাদা টয়লেট, সুপেয় পানি, হ্যারিং বনের রাস্তাসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকছে এখানে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন  কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর উপক’লীয় এ অঞ্চলে দুর্যোগে প্রাণহানী রক্ষায় প্রথম কিল্লা স্থাপনের উদ্যোগ নেন। তাই এগুলোকে মুজিব কিল্লা বলা হয়। ভোলায় মোট ২৪ টি মাটির কিল্লা রয়েছে। এর মধ্যে সচল রয়েছে ৭টি ও বাকিগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার অত্যাধুনিক মানের কিল্লা স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, জেলার দুূর্গম চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী দুূর্যোগ প্রবণ এলাকায় আগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব কিল্লা হচ্ছে। স্থানীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর এগুলো তত্তাবধায়ন করছে। এসব কিল্লা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের মানুষের জান মাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ র্ভূমিকা রাখার সাথে দুূর্যোগ মোকাবেলায় মানুষের সক্ষমতা তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।

স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দুূর্যোগ পরবর্তী ভোলার দুূর্গত এলাকা পরিদর্শনে এসে প্রাণহানী রক্ষায় এ কিল্লা নির্মাণের নির্দেশ দেন। যাতে জলোচ্ছাসে মাটির উঁচু স্থানে গবাদি পশু ও মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে। দুূর্যোগ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব চিন্তা চেতনা থেকেই এসব কিল্লা নির্মিত। তাই দুূর্যোগ ঝুঁকি হৃাসে নতুন এসব মুজিব কিল্লার ব্যাপক ভূমিকা বলে জানান তিনি।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়