ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

ভারত থেকে দেশে পৌছেছে সেরামের আরও ২৫ লাখ টিকা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৫ লাখ টিকার আরও একটি চালান দেশে এসেছে। গতকাল ৮ ডিসেম্বর রাতে শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এ চালান পৌঁছায়।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ২৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে এসেছে। এ টিকা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ যে টিকা কিনেছে, এর মধ্যস্ততা করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি সই করে। টিকা পেতে ভারতের প্রতিষ্ঠানটিকে অগ্রিম অর্থও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। চুক্তির পর ভারত দুই কিস্তিতে ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেয়। এ ছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা পাঠিয়েছিল। দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর দেশটি গত ২ ডিসেম্বর আরও ৪৫ লাখ টিকা পাঠায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকার গত ১০ মাসে দেশের মানুষকে ১০ কোটি ডোজের বেশি টিকা প্রদান সম্পন্ন করেছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই তথ্য জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০ কোটি ২ হাজার ১২৩ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬ কোটি ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৪ জন দুই ডোজ টিকা নিয়ে তাদের টিকার কোর্স পূর্ণ করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ইতোমধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশের বেশি মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। পাশাপাশি ২২ শতাংশের বেশি মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।

জয় বলেন, প্রথম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ফাইজার-বায়োএনটেক, সিনোফার্ম এবং মডার্নার টিকাও পাচ্ছেন মানুষ।

‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বুধবার (১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৯ ডোজ, ফাইজারের ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৫ ডোজ, সিনোফার্মের ৭ কোটি ৩১ লাখ ৭২ লাখ ৩৬০ ডোজ এবং মডার্নার ৫৩ লাখ ৪০ হাজার ৫১৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে দেশের মানুষকে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা।

অপরদিকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলেও জানান তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি বর্তমানে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়