ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে অপপ্রচার করছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এর মাত্র দুই মাসের মাথায় দেশে বড় একটি অঘটন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড। নিঃসন্দেহে সদ্য ক্ষমতায় আসা দলকে ধূলিসাৎ করার অপচেষ্টা ছিলো, এই পিলখানা ট্যাজেডি।

অথচ এ ঘটনায় উল্টো আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচার থামছে না। যদিও বিভিন্ন অনুসন্ধানী তথ্যের বরাতে জানা গেছে, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত ছিলেন। এর প্রাথমিক সত্যতা মিলে, যখন ঘটনার দিন খালেদা জিয়া তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে বিডিআর বিদ্রোহের দিন তারেক রহমান লন্ডন থেকে অর্ধশতাধিক বার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টেলিফোন করে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ খবর জানতে চান। যা সত্যিই সন্দেহজনক।

তথ্যসূত্র বলছে, ওইদিন প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে বিডিআর বিদ্রোহ সূচনা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বিএনপি নেত্রী সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।

রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন উচ্চারিত হয়- খালেদা জিয়া সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে গেলেন কেন? সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন? কোথায় ছিলেন? এসব প্রশ্নের জবাব কি তিনি দেবেন? ওই সময় লন্ডনের মধ্যরাতে তারেক রহমান অনবরত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির কাছে ফোন করেছিলেন। ওই ফোনে কী কথা হয়েছিল?

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি চক্রের মিথ্যাচারের বিষয়ে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি বরাবরই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে দোষারোপ করে থাকে। বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে অপপ্রচার তারই নামান্তর।

তিনি আরও বলেন, আপনি জেনে অবাক হবেন যে বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ জন সেনা অফিসার নিহত হয়েছিলেন তার মধ্যে ৩৩ জনই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। সুতরাং এর দায় যদি আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাতে চেষ্টা করা হয় তবে তা হবে ‘বোকার স্বর্গে বাস’। ওইদিন বেগম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ত্যাগ, এক ঘণ্টার মধ্যে তারেক রহমানের অর্ধশতাধিক ফোনসহ বিভিন্ন ইস্যুকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করলে খুব সহজেই এই ঘটনার ইন্ধনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায় যে, এমন নারকীয় কাণ্ড কাদের ইন্ধনে ঘটেছে, এর নেপথ্যে কে বা কারা।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় একটি বিশেষ চক্রের ইন্ধনে সৈনিকরা বিভিন্ন দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। এতে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়