ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএনপিতে মির্জা ফখরুলের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১০, ২১ জানুয়ারি ২০২১  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই দলের হাইকমান্ডের তরফ থেকে অসহযোগিতা পেয়ে আসছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে দলে মির্জা ফখরুলের গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে।

তবে এ ক্ষেত্রে মির্জা ফখরুলকে দোষারোপ করা সমীচীন নয় বলে বিবেচনা করা যায়। মূলত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতা, একতরফা সিদ্ধান্ত, অসহযোগিতা ও সহকর্মীদের ঘোরতর বিরোধিতার কারণে রাজনীতিতে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন মির্জা ফখরুল। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, হাইকমান্ডের ক্রমাগত বিরোধিতার প্রতিশোধ নিতেই দলকে কৌশলে রাজপথ বিমুখ করে রেখেছেন মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুলের কৌশলে পরাজিত হয়েই রাজপথে কঠোর আন্দোলনের বদলে মানববন্ধন, প্রেসব্রিফিং ও অভিযোগের রাজনীতিতে আটকে পড়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলের নিষ্ক্রিয়তাকে তাই দলের জন্য হুমকিস্বরুপ মানছে দলটির তারেকপন্থী নেতারা।

মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক নীরবতা ও অস্বস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তার ঘনিষ্ঠ অনুচর ও দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিগত এক বছর ধরে হাইকমান্ডের কোন রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না মির্জা ফখরুল। বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতা, একপেশে মনোভাব ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গোঁড়ামির কারণে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। এছাড়া প্রতিনিয়ত তার বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কানভারী করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দল গঠন, কমিটি অনুমোদনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মির্জা ফখরুলকে কোন রকম সহায়তা করছেন না তারেক। বরং রিজভী আহমেদের উপর তারেক রহমানের বিশেষ নির্ভরতা নিয়ে দলে নানা গুঞ্জন চাউর হচ্ছে। সত্যি বলতে মির্জা ফখরুলের রাজপথে নিষ্ক্রিয়তার জন্য তারেক রহমানসহ কিছু সংশয়বাদী নেতা দায়ী। বিএনপিকে রাজপথে ফেরাতে হলে অবশ্যই এসব স্বেচ্ছাচারিতা দূর করতে হবে এবং যোগ্য নেতাদের তাদের পাওনা অনুযায়ী মূল্যায়ন করলে দল শক্তিশালী হবে। নেতা মূল্যায়িত হলেই দলের শক্তি বাড়বে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়