ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বায়ুদূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৬:৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বায়ুদূষণের পাশাপাশি সবচেয়ে দূষিত এলাকা চিহ্নিত ও দূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

উপযুক্ত স্থানে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) বসানো এবং বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষা করতে অ্যালার্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়াও ইট পোড়ানোর বিকল্প পদ্ধতির উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিবাদীদের চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ রেখেছেন আদালত।

বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিটটি করে। পরে রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

জানা গেছে, রাজধানীতে ২০২২ সালে বায়ুদূষণে মাত্রা বেড়েছে ১০ শতাংশ। গত ছয় বছরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতেই গড়মাত্রা ১৫ ভাগ বেশি। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণায়, সমন্বয়হীন ও অপরিকল্পিত নির্মাণকাজ, ইটভাটা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির ধোঁয়া দেশের ইতিহাসের ভয়াবহ বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এদিকে নির্দেশনার পরও কেন বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, জানতে ঢাকা ও আশপাশের ৫ জন জেলা প্রশাসককে তলব করেন আদালত।

সব রেকর্ড ভেঙে ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ ঘটেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। এ এক মাসে কেবল অস্বাস্থ্যকর বায়ু নয়, দুর্যোগপূর্ণ বায়ু সেবনও করেছে নগরবাসী। উন্নত বিশ্ব যা জরুরি অবস্থার শামিল।

গবেষকরা বলছেন, সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধীরে ধীরে ঢাকার বায়ু এ দুরাবস্থায় পৌঁছেছে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণা অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় '২২ সালে বায়ুদূষণে মাত্রা বেড়েছে ১০ ভাগ। আর এ বছর জানুয়ারি মাসে বায়ুদূষণের মাত্রা পূর্ববর্তী ছয় বছরের গড় দূষণের তুলনায় ১৫ ভাগ বেশি।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, প্রতি বছরই পূর্ববর্তী গড়ে ৮ থেকে ১০ ভাগ দূষণ বেড়েছে। কিন্তু এর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি ৩১ ভাগ বায়ুদূষণ ঘটে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজের কারণে। ফলে কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে বায়ুদূষণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়