ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বায়তুল মোকাররম ও কুমিল্লার ঘটনার ষড়যন্ত্রের ছক এঁকেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ১৬ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ে দেশের পাহাড় থেকে সমতল, কিংবা হাওর থেকে দুর্গম চরাঞ্চল-সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। ঘটেনি বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা।

কুচক্রী মহল বারবার চেষ্টা করলেও বিন্দুমাত্র কমাতে পারেনি সরকারের জনপ্রিয়তা, জনসমর্থন-কোন কিছুই। জনগণ বরং পরম আস্থায় বলেছেন, এই সরকার পারে। এই সরকারই পারবে। এমতাবস্থায় নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পুনরায় ষড়যন্ত্রের ছক এঁকেছে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে করেছে সহিংস পরিকল্পনা। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ কুমিল্লার ঘটনা ও পরবর্তীতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে তারা জুমার নামাজের পর উসকে দেয় সাধারণ মুসলিমদের। যাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দাবানলের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, এবারই প্রথম নয় এর আগেও বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় এলে বিভীষিকা আর অন্ধকার নেমে আসে দেশে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বাংলায় নিপীড়িত-নির্যাতিত হয়। ধর্ষিত হয় ফাহিমা-পূর্ণিমাদের মতো অসংখ্য নারী। শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক এই গোষ্ঠীটি নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয় অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি। মূলত তখন থেকেই তাদের টার্গেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কারণ, তারা জানে যে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তারাও আওয়ামী সরকারের খুব নেওটা। শুধু তাই নয়, তাদের শাসনামলে তারা নিরাপদে থাকে, ঘরবাড়ি সুরক্ষিত থাকে, নিপীড়নের শিকার হতে হয় না। তাই কোনভাবে যদি এই বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা নষ্ট করে দিয়ে প্রমাণ করা যায়, তাদের শাসনামলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়, তাহলেই কেল্লাফতে। সে কারণে বিএনপি-জামায়াত চক্র নীল নকশা এঁকে ক্ষমতায় যেতে আবারো সংখ্যালঘুদের ‘দাবার গুটি’ বানিয়েছে। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ, কুমিল্লার ঘটনা। এবং পরবর্তীতে সরকার ও প্রশাসনকে আরও চাপে ফেলতে মন্দিরের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদেও উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা করলো উগ্রবাদী জনগোষ্ঠীটি। চেয়েছিল ধর্মকে ব্যবহার করে দেশকে অশান্ত করে তুলে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে। কিন্তু শেষ অবধি সরকারের শক্ত অবস্থান ও জনগণের সম্পৃক্ততায় তাদের সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত এখনও চলমান। তাই সরকারসহ আমাদের সকলকে সদা জাগ্রত থাকতে হবে। কারণ, তারা আবারও ‘মরণ কামড়’ দিতে পারে। কেননা সবাই যখন ‘পৃথিবীটা মানুষের হোক/ধর্ম থাকুক অন্তরে/মসজিদে আজান হোক/ঘণ্টা বাজুক মন্দির ‘কথাটি বিশ্বাস করছে, তখন সাম্প্রদায়িক দল বিএনপি বলছে, ‘তোরা যে যা বলিস ভাই/রক্ত-লাশের বিনিময়ে হলেও ক্ষমতা আমার চাই।’ আর সেটা তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রকাশ পাচ্ছে।

রাজনৈতিক এই বিজ্ঞজনরা আরও বলেন, তারেক রহমান তার নিজস্ব বলয়ের লোক নিয়ে একাধিকবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিটিং করেছেন। শত শত কোটি টাকা বাজেট দিয়ে বলেছেন, কাজ করো। প্রয়োজনে টাকা আরও দেয়া হবে। তবুও ক্ষমতায় যাওয়া চাই। আর সেটা রক্ত-লাশের বিনিময়ে হলেও। এ থেকেই সহজে প্রমাণিত হয়, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের শান্তি বিনষ্টকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীটি সব করতে পারে, সব।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়