বরগুনার যে গ্রামে হঠাৎ করে ভৌতিক আগুন লাগে এখানে ওখানে!
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
বরগুনা সদর উপজেলা ঢলুয়া গ্রামে হঠাৎ এখানে ওখানে জ্বলে উঠছে আগুন। কিন্তু কেন বা কী কারণে এমন হচ্ছে কেউ জানে না। একের পর এক বাড়িতে আগুন লেগেই চলেছে। কখনো রাতে, কখনো সকালে, আবার কখনো বিকেলে।
হঠাৎ এমন আগুনে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আগুন-আতঙ্কে কাজ ফেলে দিন-রাত বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন পুরুষরা। ঘরের বাইরে রান্না করছেন গৃহিণীরা। অনেকেই সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। হঠাৎ করে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ঘরের মালামাল পুড়ে ছাই হচ্ছে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে ঢলুয়াবাসী।
সরজমিনে দেখা গেছে, এক মাস আগে এ এলাকায় প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পরদিন আবারো গ্রামের ৮টি বাড়িতে আগুন লাগে। এরপর থেকে প্রতিদিনই ওই গ্রামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। তবে কীভাবে এ আগুন লাগছে তা কেউ বলতে পারছে না। আতঙ্কে দিন পার করছে গ্রামের শতাধিক পরিবার।
ভুক্তভোগী রিপন, সেন্টু, মনসুর আলী বলেন, প্রায় একমাস ধরে প্রতিদিন ৫-১০ বারের মতো বাড়ির বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগছে। কিন্তু কীভাবে লাগছে জানি না। আগুনের ভয়ে পরিবার রেখে কোথাও যেতেও পারি না। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম হয়তো কেউ আগুন দিচ্ছে- তাই পাহারা বসাই। পরে দেখি কোনো কিছু বা কারো হাত ছাড়াই আগুন জ্বলে উঠছে। আগুনে কখনো কাপড় পুড়ছে, কখনো ঘরের মালামাল। আগুন নেভাতে গিয়ে অনেকেই হাত পা পুড়িয়ে ফেলছে, এখন আমরা আতঙ্কে আছি।
ভুক্তভোগী আলেয়া, রেহেনা, নাসিমা বলেন, প্রতিদিন আগুন লাগায় বাড়িতে থাকা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ হাত-পা পুড়িয়ে ফেলছে। না জানি কখন-কার বড় ক্ষতি হয়ে যায়। এভাবে কেন আগুন লাগছে তার সঠিক সুরাহা করা হলে আমাদের খুব উপকার হবে।
স্থানীয় আলিয়া মাদরাসার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, এমন বিষয়কে স্থানীয়রা ভৌতিক দাবি করলেও এর সত্যতা পাওয়া যায় না। মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে এমনটা হতে পারে। আবার ইথেন, প্রোপেন বা বিউটেন গ্যাসও হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
এরই মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করেছেন বরগুনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, হঠাৎ করে এমন আগুন লাগা নতুন নয়। অনেক স্থানে প্রায়ই এমন ঘটনা শোনা যায়। স্থানীয়রা এটাকে ভৌতিক বলে মনে করে। এমন ঘটনায় যাতে কারো ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা সজাগ আছি।
এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ইউএনওকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। ওখানে কীভাবে আগুন লাগছে- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
- ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও ভালুকার সালমা
- “ময়মনসিংহে অনলাইন নার্সারির ই-কমার্স সম্ভাবনা”
- লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে শেখ রাসেল দেয়ালিকা
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- মিঠামইনে ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
- ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর ভৈরবের মাছ বাজার
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - পতিতালয়ের শিশুরা যাবে স্কুলে, থাকবে আবাসিক হোটেলে
- রাজীবপুরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষক কৃষাণী প্রশিক্ষণের আয়োজন