ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরণী থেকে মুছে ফেলতে শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ১৮ অক্টোবর ২০২১  

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে ধরণী থেকে মুছে ফেলতে শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে।

তিনি বলেন, এর জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা কী করে পারলো শেখ রাসেলকে হত্যা করতে? খুনিরা কীভাবে গুলি করেছিল তার বুকে? ছোট্ট রাসেলের কান্নায় একবারও মায়া হয়নি তাদের? খুনিরা তো এ সমাজেরই লোক ছিল। তাদেরও তো পরিবার ছিল, সন্তান ছিল। রাসেলের মতো সন্তান তাদের ঘরেও ছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পরও কেন শিশু রাসেলকে হত্যা করলো? কী অপরাধ করেছিল রাসেল?

তিনি আরও বলেন, কোনো সভ্য দেশে হত্যার বিচার হতে পারবে না- এমন জঘন্যতম আইন পাস হতে পারে না। কিন্তু কী অদ্ভুত, এ আইনটি সেদিন বাংলাদেশে পাস হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা, পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাস করেছিল, যারা এ আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্যবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।

কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সভাপতি অধ্যাপিকা শিরিন আক্তার মঞ্জুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক মুনিরুজ্জামান জুয়েল।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়