ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর কিছু কৌশল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৪, ১৪ মার্চ ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

পড়াশোনা করতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের ঘুম আসেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। অনেক সময় পরীক্ষার আগ দিয়ে  সারারাত জেগে পড়াতে হয়। 

তবে পরীক্ষার আগের দিন রাতে জেগে থাকতে নিজেকে কখনো জোর করা উচিৎ নয়। কারণ গভীর ঘুম বা আরইএম ঘুম আপনাকে পড়া মনে রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনার পড়াগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে পরিণত করে।

তবে আপনি যদি একদমই জেগে থাকতে না পারেন তাহলে এই উপায়ে অবলম্বন করতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই উপায় সম্পর্কে-  

খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার
পড়াশোনার সময় নিজেকে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে, পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি সালাদ, মসুর ডাল এবং প্রচুর ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা তৈরি করুন। সাধারণত যে খাবারে মেদ বেশি থাকে তা আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে ফেলে। তবে চর্বিযুক্ত প্রোটিনগুলো শক্তির জন্য দুর্দান্ত। পাশাপাশি বাদাম এবং বীজের তৈরি একটি এনার্জি বার খেতে পারেন।

পড়াশোনার সময় ঘুম আসার প্রধান কারণ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতি রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত ঘুমাবেন না বা কমও ঘুমাবেন না এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এর ফলে প্রতিরাতে একই সময়ে ঘুম আসবে আপনার।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পড়াশোনার সময় আপনি ঘুমিয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করছেন না। তবে একটি গবেষণার হিসেবে, ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে আপনার মস্তিষ্ককে সঙ্কুচিত করতে পারে! পড়ার সময় পর্যাপ্ত পানি না পান করলে আপনি মনোযোগ হারাতে পারেন। এটি মোকাবিলা করতে, আপনার পড়ার টেবিলে সবসময় ঠাণ্ডা পানির একটি বোতল রাখুন এবং সারা দিন একটু একটু করে চুমুক দিন। আপনার প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা উচিৎ। আপনি একটি ২ লিটারের বোতলে পানি ভরে রাখতে পারেন এবং ঘুমানোর আগে সেটি শেষ করে ঘুমাতে পারেন।

টেবিল থেকে উঠুন এবং কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করুন
পাওয়ার ন্যাপ নেয়া ছাড়াও, পড়াশোনার সময় আপনি যদি ঘুম অনুভব করেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হাটাহাটি করতে পারেন। বা আপনার প্রিয় গান ছেড়ে নাচতে পারেন। বাইরে থেকে ১০ মিনিটের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। এমনকি আপনার ঘরে হেটে হেটে বইটি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।

একটানা অনেকক্ষণ পড়া যাবে না
অনেকেই একটানা ৫-৬ ঘন্টা পড়ার কথা বলে তবে মনোযোগ না হারিয়ে এটি করা প্রায় অসম্ভব। একটানা সর্বোচ্চ ২ ঘন্টার বেশি পড়া উচিৎ নয়। প্রতি ২ঘন্টা পরপর বা ২৫ মিনিট পড়ার পরে ৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। এই ৫ মিনিটে আপনি শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাম করতে পরেন। বা প্রতি ২ ঘন্টা পরে আপনি প্রায় ২০ মিনিটের দীর্ঘ বিরতিও নিতে পারেন।

জোরে জোরে পড়ুন এবং বেশিবেশি লিখুন
জোরে জোরে পড়া আপনাকে মনে মনে পড়ার চেয়ে আরো বেশি ব্যস্ত রাখতে পারে যা আপনাকে পড়াশোনার সময় না ঘুমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া একটি রাফ খাতা আপনার পাশে রাখুন এতে আপনি যা পড়ছেন তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লিখে রাখতে পারেন। আপনার নোটগুলো মুখস্থ করার জন্য এটিই সেরা উপায় নয়, এটি আপনার শরীরকে ব্যস্ত রাখবে এবং আপনাকে জাগিয়ে রাখবে।

পড়ার সময় আরাম করা যাবে না
পড়াশোনার সময় ঘুমিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা। এক্ষেত্রে আপনার বিছানায় পড়াশোনা না করা উচিৎ। আপনার পড়ার যায়গা এবং ঘুমানোর যায়গা আলাদা রাখুন। এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক দুটির মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে।

ক্যাফিনেটেড পানীয় পান করতে পারেন
কফি বা অন্যান্য পানীয় পান করতে পারেন। এটি আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে তবে মাথায় রাখা উচিৎ যে এ এনার্জি অল্পের জন্য স্থায়ী হতে পারে। তাছাড়া খুব বেশি ক্যাফিন আপনার পক্ষে খারাপ। আপনার একদিনে ৫০০-৬০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন পান করা উচিৎ নয়।

আকুপ্রেশার চেষ্টা করুন
যখন আপনি খুব নিদ্রাহীন বোধ শুরু করেন, তখন মানব দেহের ৫টি কেন্দ্রে চাপ দিতে পারেন। পয়েন্টগুলো আপনার মাথার উপরের অংশে, আপনার হাতের পেছনে, হাঁটুর নীচে, আপনার ঘাড়ের পেছনের অংশের উপরে অবস্থিত। চাপ দেয়ার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি নিতে পারেন। এটির ফলে আপনার ক্লান্তিদূর হবে এবং পড়ার শক্তি ফিরে পাবেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়