ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতেই হবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১০ জানুয়ারি ২০২১  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন. প্রযুক্তির আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপযোগী করে তৈরি করতে না পারলে টিকে থাকা কঠিন হবে। এই জন্য প্রত্যেককে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতেই হবে।

তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত শিক্ষক তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যন্ত্র বা প্রযুক্তি দুটি জায়গা দখল করতে পারবে না । এর একটি মেধা এবং অপরটি হচ্ছে সৃজনশীলতা। আমাদের মানুষদের বেসিক ডিজিটাল দক্ষতা থাকলেও প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ দূর করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ওয়েবিনারে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘এন্টারপ্রিনিয়ার্স ডায়রি’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রকৃত পরিবেশ, সঠিক দিকনির্দেশনা ও উপযুক্ত সহায়তা প্রদান খুবই প্রয়োজন। এসবের পাশাপাশি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। এতে তাদের ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা।

প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় অতীতের শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অগ্রগতির বিভিন্ন সূচক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল দেশের মোট চাহিদার শতকার ৫২ভাগ পূরণ করছে।নাইজেরিয়া, নেপাল ও আমেরিকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন রপ্তানি করছে।

তিনি বলেন, কোভিডকালে দেশের সত্তরভাগ রোগী ঘরে বসে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছে, ডিজিটাল কমার্স চারগুণ বেড়েছে।

প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেটে শিশুরা পড়া লেখা করার সুযোগ পাচ্ছে যা কখনো কল্পনাও করা যায়নি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেন, যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন্স দক্ষতা মানে কোন বিশেষ ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে তা নয়। ভাল উপস্থাপনার দক্ষ করে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। নিজ ভালভাবে প্রকাশ ঘটাতে পারলে পৃথিবীর যে কোন ভাষার মানুষ যন্ত্রে তার নিজ ভাষায় তা বুঝতে সক্ষম বলে তিনি উল্লেখ করেন। মাননীয় মন্ত্রী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখা পড়া করার পরও কেমন করে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হন তেমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, ইচ্ছা থাকলে সবই করা সম্ভব।

তিনি বলেন আামি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বাঙালীত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা পাই-অন্যদিকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে এই বিভাগের মহান শিক্ষকরা বাংলা ভাষার জন্য অসাধারণ ভালোবাসা তৈরি করিয়ে দেন।

বাংলা ও বাঙালির প্রতি দরদ থেকে তিনি কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রয়োগের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন বলে জানান।

অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি‘র উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান এবং অধ্যাপক সাদিয়া আহমেদ প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়