পায়রা বন্দর সম্ভাবনার নতুন দ্বার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা আজ নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে পায়রা বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে; সে লক্ষ্যে এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। পায়রা বন্দর কয়লাবাহী জাহাজ পরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ পরিবহন করবে। পায়রা বন্দর ভবিষ্যতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পায়রা বন্দরের জন্য দু’টি টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, পায়রা বন্দর এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করেছে। সামগ্রিক সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তন সাধনে সহায়ক হবে। পায়রা বন্দরকে ঘিরে ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। সেখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, নৌঘাটি নির্মিত হচ্ছে। কুয়াকাটায় পর্যটনের হাব রয়েছে। পায়রায় বিদ্যুতের নতুন হাব হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম শামসুল আজিজ।
খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৮ মাসে টাগবোট দু’টি নির্মাণ করবে। ৭০ টন বোলার্ড পুল বিশিষ্ট দু’টি টাগবোট নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩৫ কোটি টাকা। টাগবোট দু’টির দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৭০ মিটার, প্রস্থ ১১ মিটার, ড্রাফট ৫ মিটার এবং টনেজ ২৮০ টন। টাগবোট দু’টির প্রতিটিই এককভাবে একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে ভিড়াতে সক্ষম হবে। এছাড়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ, বাণিজ্যিক জাহাজকে অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করা, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজকে টেনে নিরাপদে নিয়ে আসা, উত্তাল সমুদ্রে পাইলট ট্রান্সফারে সহায়তা করাসহ নানাবিধ অত্যাবশ্যকীয় কাজে টাগবোট দুটো ব্যবহৃত হবে। এতে পায়রা বন্দরের ধারাবাহিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্র সীমার পরিধি বেড়ে যাচ্ছে। বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। মোংলা বন্দরের আউটারবারে ড্রেজিং করা হয়েছে। ইনারবারে ড্রেজিং চলছে। সেখানে ৯ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ আসতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা জাহাজ আসা-যাওয়া করবে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ বিশ্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এক লাখ টন ওজনের জাহাজ মাতারবাড়ীতে ভিড়তে পারবে। এ বন্দর শুধু দেশে নয়। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
- বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার দিবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইআইবি
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য বিশ্ব দরবারে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার এক অনুপম দৃষ্টান্ত: মুরাদ হাসান
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ
- কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
- বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ হবে বাংলাদেশে, দৈর্ঘ্য ২৫০ কি.মি.
- ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে