ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী, মিছিলে স্লোগানে মুখর নগরী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী, মিছিলে স্লোগানে মুখর নগরী

পাঁচ বছর পর রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী, মিছিলে স্লোগানে মুখর নগরী

পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘিরে রাজশাহী মহানগরীজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ; আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে।

এই মাঠেই রোববার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতা-কর্মীদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরী।সকালে রাজশাহী পৌঁছে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ ও প্যারেড পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে দুপুরে তিনি যাবেন মাদ্রাসা মাঠে।ওই সমাবেশ থেকেই এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ৩৭৬ কোটি টাকার আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের জনসমাগম হবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এই জনসভা থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাইবেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নগরীর প্রায় প্রতিটি রাস্তায় বড় বড় তোরণ পড়েছে; ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অলিগলি।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ যাতে গোটা নগরী থেকেই মানুষ দেখতে পারেন তার বিভিন্ন স্থানে এলইডি টিভি স্থাপন করা হয়েছে; প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১৩০টি মাইক।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা জানান, জনসভাস্থল সকালেই খুলে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই জনসভার আয়োজন করেছে। তবে রাজশাহীর বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ থেকেও নেতাকর্মীরা আসছেন মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় অংশ নিতে।

তাদের পরনে দেখা যাচ্ছে নানা রঙের টি-শার্ট ও টুপি। ঢাক, ঢোল বাজিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তারা মিলিত হচ্ছেন জনসভাস্থলে।প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকে শহরে সব ধরনের অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহন এবং ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।   

সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বাস ছাড়াও আটটি ট্রেন ভাড়া করেছে আওয়ামী লীগ।

পশ্চিম জোনাল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার শনিবার রাতে বলেন, এসব ট্রেনে প্রায় ১২ হাজার আসন রয়েছে। আওয়ামী লীগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব ট্রেন ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

ট্রেনগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর, নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, পাবনার ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ ও আড়ানী স্টেশন থেকে সকাল ১০টায় ছেড়ে রাজশাহী শহরে পৌঁছাবে। পরে সন্ধ্যায় ট্রেনগুলি আবার ওইসব স্টেশনে ফিরে যাবে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, “এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা শুনতে চান এ অঞ্চলের মানুষ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মসূচিভিত্তিক ভাষণ দেবেন।”

মেয়র লিটন আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন তা হয়ে গেছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন তরুণদের নিয়ে, সেটাও ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। এই জনসভায় দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দেশবাসীকে এক গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিবেন বলে আমরা আশা করছি।’’

রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা বলেন, “না চাইতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলটা আমরা চাই; এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চাই। আরেকটা জিনিস চাই, সেটা হল হাটিকুমরুল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক।”

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়